ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম ঊর্মিকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন বিভাগটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ র্যালি নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন তারা।
মানববন্ধনে ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আবু শিবলী মো. ফতেহ্ আলী চৌধুরী ও ড. মৌসুমী আকতার মৌসহ ঊর্মির সহপাঠী ও অন্য শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এসময় তারা এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
ঊর্মির সহপাঠীরা বলেন, ‘যার আজ ক্যাম্পাসে বিচরণ করার কথা ছিল তার হত্যাকারীর বিচার চেয়ে আমাদের পথে আসতে হয়েছে। এটি মেনে নেওয়া কষ্টকর। যাকে ভালোবেসে বিশ্বাস করে ঘর বেঁধেছিল, শেষ পর্যন্ত সেই স্বামীই তার ঘাতক হলো। আমরা চাই আর কারো সাথে এমন না ঘটুক। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক।
শিক্ষকরা বলেন, ‘আমরা শুনেছি ঊর্মির স্বামী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন এলাকার প্রভাবশালী। তারা প্রভাব খাটিয়ে একে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা যত বড়ই প্রভাবশালী হোক, আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা এই মানববন্ধন থেকে তার হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ‘
গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঊর্মির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের পক্ষ থেকে আত্মহত্যার দাবি করা হলেও তার পিতা গোলাম কিবরিয়া দাবি করেন, ঊর্মিকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরে তিনি বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে ঊর্মির স্বামী প্রিন্স ও শ^শুর হাসেম শাহকে আটক করেছে পুলিশ। এরআগে গতকাল (৯ সেপ্টেম্বর) গাংনী প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনার বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেন তার সহপাঠীরা।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আটক দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। ‘