জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলে সিনিয়র সদস্যদের দিন প্রায় শেষের পথে। টি-টোয়েন্টিতে এক সাকিব আল হাসান ছাড়া আর কেউ নেই। টেস্টে নেই মাহমুদউল্লাহ। একমাত্র ওয়ানডেতেই এখনো চার সিনিয়র একসঙ্গে খেলেন।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলেও সিনিয়রদের ক্যারিয়ার শেষের পথে। সদ্যই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে আজ দেশে ফিরেছে নারী দল। আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই কি সালমা-রুমানা-ফারজানাদের শেষ বিশ্বকাপ?
আজ মঙ্গলবার প্রশ্নটা করা হয়েছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমরা কেউ কিন্তু শিওর না এটা কার শেষ ওয়ার্ল্ড কাপ বা কী। কারণ এটা যার যার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমি মনে করি যারা সিনিয়র প্লেয়াররা আছেন তারা খুবই ভালো পারফর্ম করে যাচ্ছেন, দলের জন্য খুবই ভালো করে যাচ্ছেন। আমি যদি নাম ধরে বলি রুমানা আহমেদ কিন্তু প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন, সালমা আপু ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করছেন। তো আমি বলব, সিনিয়ররাই একটা ভিত্তি তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের হাত ধরেই জুনিয়রররা উঠে আসছে যারা পারফর্ম করার চেষ্টা করছে। ‘
বাছাইপর্বে ইনজুরির কারণে ছিলেন না সেরা পেসার জাহানারা আলম। ফারজানা করোনা আক্রান্ত। তবু কীভাবে বাছাইপর্বে দাপট দেখাল বাংলাদেশ? নিগার সুলতানা বলেন, ‘আমাদের যে টিম কম্বিনেশন ছিল… আমাদের যথেষ্ট ব্যাকআপ প্লেয়ার ছিল যারা সবসময় দলের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করে। তাই এভাবেই আমাদের ঘাটতি পূরণ হয়ে গেছে। কারণ আমাদের দলের প্রত্যেকটা খেলোয়াড় চায় অবদান রাখতে। এটি কিন্তু দলের জন্য অনেক ভালো বিষয়। এতে কেউ একজন না করতে পারলেও অন্যরা দাঁড়িয়ে যায় যে- দলের জন্য আমরা করব। এই জিনিসটা যদি আমরা চালিয়ে যেতে পারি, আমার মনে হয় বিশ্ব ক্রিকেটে আমরা একটা ভালো অবস্থানে যেতে পারব। ‘