শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভায় নিখোঁজের দু’দিন পর পুকুর থেকে মো. আজিজুর রহমান মাসুম (৪০) নামে এক যুবকের বস্তাবন্দি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ নম্বর বিশাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের পরিত্যক্ত পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মো. আজিজুর রহমান মাসুম (৪০) পৌরসভার বিশাকুড়ি গ্রামের মো. আবদুল আলী জমাদ্দারের ছেলে। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে মাসুম চতুর্থ।
তিনি অগ্রণী ব্যাংক ডামুড্যা শাখার অফিস সহায়ক পদে চাকরি করতেন। তার দুই ছেলে আবির (৭) ও আলিফ (৩)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে নিখোঁজ হন মাসুম। তারপর পরিবার ও স্বজনরা খুঁজে না পেয়ে শনিবার ডামুড্যা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নিহতের বড় ভাই মামুন। পরে আজ সকালে স্বজনরা বিশাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের পরিত্যক্ত পুকুরে লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানান। পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। গলায় গামছা পেঁচানো উলঙ্গ অবস্থায় বস্তাবন্দি ছিলেন মাসুম।
নিহত মাসুমের স্ত্রী ফারজানা ইসলাম রিতিকা বলেন, আমি আমার বাবার বাড়িতে ছিলাম। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে মাসুমের সঙ্গে শেষ কথা হয়। আমার স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর এলাকা, স্বজনসহ এমন কোনো জায়গা নাই যে খোঁজ করিনি। পরে বাড়ির পাশের স্কুলের ধারে পুকুরে অর্ধগলিত বস্তাবন্দি আমার স্বামীর লাশ পাওয়া যায়। যে বস্তায় বাঁধা হয়, সেই বস্তা ও গামছা আমাদের। আমার দুটা ছেলে তাদের বাবাকে হারিয়েছে। আমি হারিয়েছি স্বামীকে। যারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি দেওয়া হোক।
ডামুড্যা থানা অফিসাস ইনচার্জ শরীফ আহমেদ বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যায়। বস্তাবন্দি লাশটি উদ্ধার করি। এর আগে তার স্বজনরা হারিয়েছে এই মর্মে থানায় একটি জিডি করেন।