ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর দেশের উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে শুরু করে। বর্তমানে এটি স্থল নিম্নচাপ আকারে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের আসামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজধানীতে সোমবার (২৪ অক্টোবর) ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এতে বিভিন্ন এলাকার অলি-গলিতে হাঁটু পানি জমেছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালেও অলি-গলিতে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। তাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টি নেই। তবে রোদের দেখা মিলেছে। বেলা বাড়তে থাকলেও আগের বৃষ্টির পানি সরেনি অনেক সড়ক থেকেই। সকালে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় রাস্তায় পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। গ্রিন রোডে পানি নেমে গেলেও পশ্চিম তেজতুরী বাজারে এখনো প্রায় কোমরসমান পানি। ধানমন্ডি ২৭, পূর্ব তেজতুরী বাজার, মহাখালী উড়ালসড়কের নিচে, কাকলী সিগন্যাল থেকে বনানী উড়ালসড়ক পর্যন্ত, শান্তিনগর ও পুরান ঢাকার বেশ কিছু এলাকায় রাস্তায় পানি রয়েছে। তবে গতকালের তুলনায় কিছুটা কম।
সড়কে পানি থাকায় বিপাকে পড়তে হয়েছে অফিস যাওয়া মানুষগুলোর। শিক্ষার্থী, অফিসগামী এবং কর্মজীবী মানুষরা গন্তব্যে যেতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। গলিতে পানি জমে থাকায় মূল সড়কে আসতে তাদের রিকশায় ভর করতে হচ্ছে। আর এ সুযোগে রিকশাচালকরা বেশি ভাড়া হাঁকচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে, ডিএমপির ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরে বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে খিলক্ষেত-উত্তরা হয়ে গাজীপুরমুখী যান চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এই সড়ক ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করছে ডিএমপির ট্রাফিক উত্তরা বিভাগ।