জিয়াউর রহমান জেলহত্যার প্রধান কুশীলব বলেই বিএনপি এই দিবসের আলোচনায় অংশ নেয় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ শুক্রবার দুপুরে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকরা জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় বিএনপির অংশ না নেওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আলোচনা করলে এটাই উঠে আসবে এবং উঠে আসা উচিত যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ইন্ধনেই তার অনুগত সেনারা কারাগারের মধ্যে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। সুতরাং তারা জেলহত্যা নিয়ে কি বলবে! তারা দায়টা স্বীকার করতে পারে।
তাদের প্রতিষ্ঠাতা যেহেতু এই জেলহত্যার সাথে জড়িত, সেজন্য তারা এই দিবসের আলোচনায় অংশগ্রহণ করে না।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক একজন উদারমনের মানুষ, গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাস করেন এবং মুক্তমত চর্চা করেন। স্বাধীনতার স্বপক্ষের একজন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর তিনি। ছাত্রদলের ইন্ধনেই তার ওপরে হামলা হয়েছে এবং ছাত্রদলের চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এতে এটিই প্রমাণিত হয় বিএনপি সারা দেশে নাশকতার ছক এঁকেছে, সেটি সত্য। এই আন্দোলনের আড়ালে তারা দেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছে। সেটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলা।
বিএনপি-জামাত জোট এই ধরনের আরো হামলা করার পরিকল্পনা করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের ছত্রছায়ায় যে অপশক্তি জঙ্গিগোষ্ঠী রয়েছে, তারা এগুলো করছে। এজন্য বারবার আমরা দেশবাসীকে সতর্ক করেছি। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই- এই অপশক্তিকে রুখতে হবে।