টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঘটনাপ্রবাহ নাটকীয় মোড় নেওয়ায় ক্রিকেট দুনিয়ায় আলোচনার তুঙ্গে এখন ভারত-পাকিস্তান। সুপার টুয়েলভ থেকে বাদ পড়তে পড়তে কপালজোরে সেমিফাইনালে উঠেছিল বাবর আজমরা। সেখান থেকে তারা এখন ফাইনালে! যখন ভারত-পাকিস্তান বিশ্বকাপ ফাইনালের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, ঠিক তখনই ইংল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে হেরে বিদায় নিল রোহিত শর্মার দল। দেশজুড়ে ভারত-পাকিস্তান আলোচনার মাঝে পর্দার আড়ালে চলে গেছে দেশের ক্রিকেটের খবর।
গত বুধবার থেকেই বিশ্ব তথা বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে আলোচনার শীর্ষে ভারত আর পাকিস্তানের সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনাল খেলা। ভারত বাদ পড়ায় দেশের অধিকাংশ মানুষ যে খুশি- তা বলে দিত হয় না। প্রশ্ন হলো, এতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের কী লাভ? নাহ, বিন্দুমাত্র লাভ নেই। ভারতকে হারানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সাকিবরা। সেখানে ফেক ফিল্ডিংকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো হচ্ছে। কিন্তু ১০ উইকেট হাতে রেখে ৫৪ বলে ৮৫ রান করতে না পারার পেছনে কোনো অজুহাত খাটেনা।
এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে যাওয়ায় সেমিতে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের সামনে। জিতলেই সেমিফাইনাল। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেই সুযোগ হারায় টাইগাররা। পরদিনই ফিরে আসে দেশে। আপাতত কোনো সিরিজ নেই বিধায় সবার ছুটি। অধিনায়ক সাকিব গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে। কোচিং স্টাফরাও ছুটিতে আছেন। আগামী মাসের ৪ তারিখ থেকে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে আর টেস্ট সিরিজ আছে। সেই সিরিজের প্রস্তুতি কবে নাগাদ শুরু হবে তা এখনো অনিশ্চিত।
বাংলাদেশ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতেই টি-টোয়েন্টির টেকনিক্যাল ডিরেক্টর শ্রীধরন শ্রীরামের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। সেই চুক্তি নবায়ন করা হবে কিনা- তা বোর্ড সভায় চুড়ান্ত হবে। শ্রীরামের কোচিংয়ে খুশি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। যদিও ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স পরীক্ষা-নিরীক্ষা বেশি হয়েছে বলে একটি গণমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করেছেন। এই টি-টোয়েন্টি দলের ভবিষ্যৎ নিয়েও কোনো আপডেট নেই। সামনে টেস্ট আর ওয়ানডে সিরিজ থাকায় আবারও কোচের দায়িত্বে দেখা যাবে রাসেল ডমিঙ্গোকে।