দেশে করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে। সংক্রমণ কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে মৃত্যুও। এতে এই রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-আশঙ্কা কমেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এই সময়ে পরীক্ষা করা হয় এক হাজার ৮৩৪টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ২০ শতাংশ। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ১৩১ জনে।
এ সময়ে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৪২৬ জনই রয়েছে। শনিবার (১২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে করোনা শনাক্তের হার কমে যাওয়ায় বেশির ভাগ মানুষ প্রাণঘাতী এ ভাইরাস নিয়ে এখন এতটা নিঃশঙ্ক যে মাস্ক ব্যবহার ও হাত ধোয়া কমে গেছে ব্যাপক। টিকা নেওয়ার বেলায়ও আগের সেই আগ্রহ নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা গ্রহণের ফলে মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে। এর সঙ্গে একাধিক মিউটেশনের ফলে ভাইরাসটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এতে এখন আর মানুষকে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে না। তবে ভাইরাসটি রয়ে গেছে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মোশতাক আহমেদ বলেন, ‘কভিড বিদায় নিয়েছে, এটা বলা যাবে না। কারণ রোগতাত্ত্বিকভাবে এটা এখনো মহামারি পর্যায়ে রয়ে গেছে। ভাইরাসটির তীব্রতা কমেছে। একই সঙ্গে মানুষ পরীক্ষা করা কমিয়ে দিয়েছে, যে কারণে শনাক্তের সংখ্যা কমে এসেছে। ’
যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট খোন্দকার মেহেদী আকরাম বলেন, ‘কভিড রোগী কমে যাওয়া, এতে মৃত্যু কমে আসার পেছনে কারণ হলো টিকা গ্রহণ ও ভাইরাসের মিউটেশন। এতে ভাইরাসটি একদিকে দুর্বল হচ্ছে, অন্যদিকে টিকা নেওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘করোনা এখন হয়তো মৌসুমি রোগের মতো হবে। যুক্তরাজ্যে শীতের দিকে সংক্রমণ বাড়ে। বাংলাদেশে হয়তো মৌসুমি ফ্লুর সময় সংক্রমণ বাড়বে। তবে আগের মতো মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি করার আশঙ্কা নেই। ’