দেশে আর নির্বাচনী নিয়ে খেলা খেলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এবারের লড়াই আমাদের ভাতের, ভোটের ও হারানো গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য। এ লড়াই শুরু করেছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যিনি স্বাধীনতার পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন।
আর আজকে আমাদের লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আরেক তরুণ, যিনি হাজার মেইল দূরে আছেন। তিনি আমাদের তারেক রহমান।
আজ শনিবার ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত এক যুগে এই সরকারের আমলে ১০ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। দেশের সম্পদ লুট করে তারা বিদেশে পাচার করছে। সরকার কোথায় চুরি করেনি? মেগা প্রজেক্ট থেকে শুরু করে বেকার ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা পর্যন্ত চুরি করেছে। এখন বলছে রিজার্ভের টাকা চিবিয়ে খায়নি। আমরা বলি আপনারা রিজার্ভের টাকা চিবিয়ে নয় গিলে খেয়েছেন।
তিনি এ সময় বলেন, এই সরকার দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে, মানুষের ভোটের অধিকার ধ্বংস করেছে। এক সময় স্লোগান ছিল আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি টাকে দেব। আর এখন আমার ভোট আমি দেব, তোমার ভোটও আমি দেব।
বর্তমান সরকার নির্বাচিত কোনো সরকার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা জোর করে, বন্দুক-পিস্তল ব্যবহার করে, রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে, খুন-গুম করে ক্ষমতায় আছে। তাই এই সরকার যদি আরো ক্ষমতায় থাকে তবে আমাদের অধিকার বলতে কিছু থাকবে না।
এদিন ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশস্থল কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠ দলীয় নেতাকর্মীদের পদচারণে মুখর ছিল। ফরিদপুর জেলা ছাড়াও বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা দলে দলে সমাবেশস্থলে এসেছেন।
এ ছাড়া মাদারীপুর, শরীয়তপুর থেকে বিশাল ট্রলার বহর নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশে এসেছেন। তারা দীর্ঘপথ হেঁটে সমাবেশস্থলে পৌঁছান। পরিবহন ধর্মঘট থাকায় বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সকাল থেকেই হেঁটে, মোটরসাইকেলে চড়ে, বাইসাইকেলে করে সমাবেশস্থলে আসতে দেখা গেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, আওয়ামী পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে কর্মী হত্যা, হামলা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ফরিদপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশ করছে বিএনপি।