সরকারের অর্জন যেন কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সে ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ যেন অগ্নিসন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি না ঘটাতে পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা আন্দোলন সংগ্রাম করবে, জনগণকে নিয়ে করবে। কিন্তু সেখানে কেউ যদি কোনো ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায়, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা সবাইকে নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দল-মত অনেক কিছু থাকতে পারে কিন্তু দেশের স্বার্থে, মানুষের কল্যাণে, দেশের কল্যাণে, দেশের উন্নয়নে কোনো কাজ যেন কেউ ধ্বংস করতে না পারে, কোনো কাজে যেন কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে। সেদিকে বিশেষভাবে আপনাদের দৃষ্টি দিতে হবে।
অতীতের অবদানের জন্য পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই, বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় আপনাদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। আপনারা মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, সেগুলো আপনারা কঠোর হস্তে দমন করেছেন, জঙ্গিবাদ দমন করেছেন, পাশাপাশি আমাদের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, একটি দেশের আইনশৃঙ্খলা হচ্ছে সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই আইনশৃঙ্খলা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা, এ দায়িত্ব কিন্তু পুলিশ বাহিনীকেই করতে হয়। আসলে পুলিশ বাহিনীর ওপর দায়িত্বটা বেশি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, একটা দেশের আইনশৃঙ্খলা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই আইনশৃঙ্খলাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীকেই পালন করতে হবে। এজন্য পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং সেক্টর ওয়াইজ বাহিনী করে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা তাঁর সরকার বৃদ্ধি করে দিয়েছে।
টানা ক্ষমতায় থাকার সুফল তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশে যতটুকু উন্নতি আমরা করেছি এগুলো এমনি এমনি আসেননি। এর জন্য আমাদের শ্রম দিতে হয়েছে, কষ্ট করতে হয়েছে। আজকের বাংলাদেশে আমরা একটা বিরাট পরিবর্তন আনতে পেরেছি। আমরা নিজেরাই শুধু মুখে বলি না। আজ সারা বিশ্বে কিন্তু বাংলাদেশ প্রশংসিত।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন, আবদুল বাতেন, আমেনা বেগম, যশোর জেলা এসপি প্রলয় কুমার জোয়ারদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।