ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঘোষেরহাট-ঢাকা নৌরুটের এমভি জাহিদ-৭ লঞ্চের স্টাফ কেবিনে দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় লঞ্চের লস্কর মো. মফিজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মফিজ উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের চর যমুনা গ্রামের বাসিন্দা।
আজ বুধবার দুপুরে ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগী কিশোরীদের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায়। এরা দুই জন ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত।
এ ঘটনায় বুধবার ভুক্তভোগী এক কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে লঞ্চের লস্কর মফিজকে আসামি করে চরফ্যাশনের দুলারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে ওই দুই কিশোরী চরফ্যাশনের ঘোষেরহাট ঘাট থেকে এমভি জাহিদ-৭ লঞ্চে ঢাকা যাচ্ছিল। তারা ডেকে বিছানা করে। সন্ধ্যায় লঞ্চের লস্কর মফিজ তাদেরকে কেবিনে থাকার প্রস্তাব দেন। রাজি হয়ে দুই কিশোরী ইঞ্জিন রুমের পাশে একটি স্টাফ কেবিনে ওঠে। রাত ১২টার দিকে মফিজ কৌশলে কেবিনে প্রবেশ করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাদের ধর্ষণ করেন।
দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। লঞ্চের লস্কর মফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) তাকে আদালতে পাঠানো হবে।