আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) পুরান ঢাকার চকবাজার, নাজিরাবাজার, রায়সাহেব বাজার, নারিন্দা, নাজিমুদ্দিনরোড, দয়াগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় ইফতার সামগ্রী বিক্রয় শুর হয়েছে। তবে ইফতারি খাবারের দামে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তুষ্টি লক্ষ্য করা গেছে।
আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) পুরান ঢাকার চকবাজার, নাজিরাবাজার, রায়সাহেব বাজার, নারিন্দা, নাজিমুদ্দিনরোড, দয়াগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় ইফতার সামগ্রী বিক্রয় শুর হয়েছে। তবে ইফতারি খাবারের দামে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তুষ্টি লক্ষ্য করা গেছে।
নারিন্দার আহসান কবির নামে আরেক ব্যবসায়ী জানান, জুমার নামাজের পরেই দোকান নিয়ে বসেছি। বেচাকেনা প্রথম দিনে কিছুটা হচ্ছে। সবকিছুর দাম অবশ্য আগের বছরের তুলনায় একটু বেশি।
ইফতারের দাম আগের চেয়ে বেশি- এমন প্রশ্ন করলে চকবাজারের ইফতার বিক্রেতা আনোয়ার জানান, আমরা কি করমু। জিনিসের যা দাম তাতে আমাগো কিছু করার নাই। তাই বেশি দামে বেচতে হয়।
কেবল এই আইটেমটির জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা ছুটে যান চকবাজারে। এখনো পুরান ঢাকার এমন অনেক পরিবার আছে, যাদের এটি ছাড়া ইফতার জমে না, পূর্ণতা পায় না। নতুন ঢাকার বাসিন্দারাও দিন দিন এই খাবারটির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
পুরান ঢাকার বাহারি ইফতারের মধ্যে রয়েছে শিকের সঙ্গে জড়ানো সুতি কাবাব, জালি কাবাব, শাকপুলি, টিকা কাবাব, আস্ত মুরগির কাবাব, মোরগ মসল্লম, বঁটি কাবাব, কোফতা, চিকেন কাঠি, শামি কাবাব, শিকের ভারী কাবাব, ডিম চপ, তেহারি, মোরগ পোলাও, কবুতর ও কোয়েলের রোস্ট, খাসির রানের রোস্ট, দইবড়া, মোল্লার হালিম, নুরানি লাচ্ছি, পনির, বিভিন্ন ধরনের কাটলেট, পেস্তা বাদামের শরবত, লাবাং, কিমা পরোটা, ছোলা, মুড়ি, ঘুগনি, বেগুনি, আলুর চপ, পেঁয়াজু, আধা কেজি থেকে পাঁচ কেজি ওজনের জাম্বো সাইজ শাহি জিলাপিসহ বিভিন্ন খাবার।