অর্পিত সম্পত্তি আইনের ধারা ৯, ১৩ ও ১৪-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা দুটি রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে সব মামলা এখন থেকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে। অন্য কোনো আদালতে এ-সংক্রান্ত মামলা চলবে না।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান।
আদালত রায়ে বলেন, অর্পিত সম্পত্তি আইনের ৯, ১৩ ও ১৪ ধারা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি নয়। অর্পিত সম্পত্তি জেলা প্রশাসকের অধীনে থাকবে এবং জেলা প্রশাসক প্রয়োজনে লিজ দিতে পারবেন। এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত সব মামলার আবেদন অর্পিত সম্পত্তি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে হবে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। জেলা প্রশাসনের পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, আজকের এ রায়ের ফলে অর্পিত সম্পত্তির তদারকি ও লিজ দেওয়ার ক্ষমতা জেলা প্রশাসকদের হাতেই রইল এবং এ-সংক্রান্ত মামলা কেবল অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনালেই দায়ের করার বাধ্যবাধকতা তৈরি হলো। আর বর্তমানে দেশের অন্য আদালতে চলমান অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ সম্পর্কিত মামলাগুলো অচল হয়ে গেল।
অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত কতিপয় সম্পত্তি বাংলাদেশি মূল মালিক বা তাহার বাংলাদেশি উত্তরাধিকারী বা এদের বাংলাদেশি স্বার্থাধিকারীর নিকট প্রত্যর্পণ সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করে ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন-২০০১’ পাস করা হয়। এ আইনের ধারা ৯, ১৩ ও ১৪-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খুলনার শ্যামল কুমার সিংহ এবং চট্টগ্রামের মো. মশিউর রহমান ২০১২ সালে দুটি রিট করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে তখন হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট আজ রায় দেন।