পটুয়াখালীর দুমকিতে সুমি আক্তার মিম (২২) নামের এক গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার শিকার গৃহবধূ যেন কারও সাহায্য নিতে না পারেন সেজন্য তাকে এবং তার ছয় মাসের শিশুকে ঘরে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ প্রতিবেশীদের।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুর তিনটার দিকে উপজেলার নতুনবাজার এলাকার শাহজাহান দারোগার ভাড়াটিয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। মীম উপজেলার দুমকী সাতানি গ্রামের জামাল হোসেন প্রিন্সের স্ত্রী।
ওই ঘটনায় গৃহবধূ মীমের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং শিশু ওয়ালিফ হোসেন জিসানের শরীর আংশিক পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
সহকারী পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) শাহেদ আহম্মেদ চৌধুরী ও দুমকী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টার জানান, ডাক-চিৎকার শুনে দৌঁড়ে গিয়ে দেখেন ঘরের সামনের দরজা বন্ধ। ভেতরে আগুন জ্বলছে। দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে হাত ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই গৃহবধূ ও তার কোলের ছেলেকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মীমের স্বামী জামাল হোসেন প্রিন্স বলেন, দুপুরের খাবার শেষে আমি আমার কর্মস্থলে যাই। হঠাৎ মোবাইলে আগুনে পোড়ার খবর পেয়ে ছুটে আসি এবং দ্রুত স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করে বরিশাল হাসপাতালে নিয়ে আসি। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে কেউ বলতে পারেননি।
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার বলেন, আমরা ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনাসহ প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছি।