শক্তি বাড়িয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে চলেছে ‘বিপর্যয়’। একই সঙ্গে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়টি। আপাতত ভারতের মুম্বাই থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
তবে কবে ও কোথায় এটি আছড়ে পড়বে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে এখনো কিছু জানা না গেলেও দেশটির আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ও গুজরাটে পৌঁছাতে পারে এটি। তারপর অভিমুখ না বদলালে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হয়ে গুজরাট এবং পাকিস্তান উপকূলেই আছড়ে পড়তে পারে বিপর্যয়। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
পূর্বে জানানো হয়েছিল, ঝড়ের প্রভাবে কর্ণাটক, গোয়া এবং মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে দমকা হাওয়া। রোববার ও সোমবার হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার। গুজরাট, কেরালা, কর্ণাটক, লক্ষদ্বীপে উপকূলবর্তী এলাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আরব সাগরে তৈরি এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছে বাংলাদেশ।
এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। দেশের আট বিভাগেই কমবেশি বৃষ্টি দেখা গেছে। আজও এমন আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের সব বিভাগেই ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে জানানো হয়েছে। রোববার (১১ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।