আসন্ন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধার্থে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন বিভাগ থেকে কোন স্পেশাল ট্রেন কখন কোথা থেকে যাত্রা করবে এবং কোথায় কোথায় যাত্রাবিরতি করবে, সেই শিডিউল প্রকাশ করেছে।
আগামী ২৯ জুনকে ঈদের দিন ধরে এসব ট্রেন পরিচালনা করা হবে।
শিডিউল অনুযায়ী চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে ঈদ স্পেশাল-১ চট্টগ্রাম থেকে বেলা সাড়ে ১১টায় ছেড়ে চাঁদপুর পৌঁছাবে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে। ঈদ স্পেশাল-২ রাত সাড়ে ৩টায় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে। ট্রেন দুটি যাতায়াতের সময় পাহাড়তলী, ফেনী, লাঙ্গলকোট, লাকসাম, চিতোষীরোড, মেহের, হাজিগঞ্জ, মধুরোড ও চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
ঈদ স্পেশাল-৩ চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে। ট্রেনটি চাঁদপুর পৌঁছাবে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে। ঈদ স্পেশাল-৪ চাঁদপুর স্টেশন থেকে ছাড়বে ভোর ৬টায়। এটি চট্টগ্রাম পৌঁছাবে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে। ট্রেন দুটি উভয় পথে চলাচলের সময় পাহাড়তলী, ফেনী, হাসানপুর, নাঙ্গলকোট, লাকসাম, চিতোষীরোড, শাহরাস্তি, মেহের, হাজীগঞ্জ, বলাখাল, মধুরোড, শাহাতলী ও চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
ঈদ স্পেশাল-১, ২, ৩ ও ৪ ট্রেনগুলো ২০টি বগির ওপর ১০টি কোচ নিয়ে চলাচল করবে। ট্রেনগুলোর মোট আসন সংখ্যা হবে ৫১৪টি। এই চারটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক দ্বারা পরিচালনা করা হবে।
এদিকে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে ঈদ স্পেশাল-৫ ঢাকা থেকে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ঢাকা ছেড়ে দেওয়ানগঞ্জ পৌঁছাবে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে। ঈদ স্পেশাল-৬ দেওয়ানগঞ্জ থেকে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে রাত ১১টা ১০ মিনিটে।
এসব ট্রেন চলাচলের সময় ঢাকা বিমানবন্দর, টঙ্গী, জয়দেবপুর, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ, পিয়ারপুর, জামালপুর, মেলান্দহ ও ইসলামপুর বাজার স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। এই ট্রেন দুটিও ২০টি বগির ওপর ১০টি কোচ নিয়ে চলাচল করবে। প্রতিটি ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৮৮৬টি। ট্রেন দুটি স্পেয়ার কোচ দ্বারা পরিচালনা করা হবে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে ঈদ স্পেশাল-৭ চট্টগ্রাম থেকে রাত ৯টায় ছাড়বে। এই ট্রেন ময়মনসিংহ পৌঁছাবে ভোট ৬টায়। ঈদ স্পেশাল-৮ ময়মনসিংহ থেকে সকাল ১০টায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টায়। ট্রেন দুটো যাত্রাপথে ফেনী, লাকসাম, কুমিল্লা, আখাউড়া, ভৈরব বাজার, কিশোরগঞ্জ, গৌরীপুর এবং ময়মনসিংহ স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। ট্রেন দুটি ১৪টি বগির ওপর ৭টি কোচ নিয়ে চলাচল করবে। প্রতিটি ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩২৪টি। ট্রেন দুটি ওয়ার্কশপ স্পেশাল ট্রেনের রেক দ্বারা পরিচালনা করা হবে।
এদিকে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-৯ ভৈরব বাজার থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল ৮টায়। শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১০ কিশোরগঞ্জ থেকে দুপুর ১২টায় ছেড়ে ভৈরব বাজার পৌঁছাবে দুপুর ২টায়। শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১১ ময়মনসিংহ থেকে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে ৮টা ৩০ মিনিটে। শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১২ কিশোরগঞ্জ থেকে দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে ছেড়ে ময়মনসিংহ পৌঁছাবে বিকেল ৩টায়। যাত্রাপথে ট্রেন চারটি সকল স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। ১০টি বগির ওপর মোট ৫টি কোচ নিয়ে ট্রেন চারটি চলাচল করবে। প্রতিটি ট্রেনের আসন সংখ্যা হবে ২৭৪টি। ট্রেনগুলো ৭৫, ৭৬, ২৭১ এবং ২৭২ ট্রেনের রেক দ্বারা পরিচালনা করা হবে।
ঈদ স্পেশাল ১ থেকে ৮ ট্রেনগুলো আগামী ২৬ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরের দিন থেকে পরবর্তী ৫ দিন চলাচল করবে। এ ছাড়া শোলাকে ঈদ স্পেশাল ৯ থেকে ১২ ট্রেন চারটি শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে।