জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে কিলিং মিশনের নায়ক।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আরও মাস্টারমাইন্ড থাকলে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।
শুক্রবার (১৬ জুন) বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় সংবাদমাধ্যমে এসব কথা জানান পুলিশ সুপার।
হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে তিনি জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। ভিডিওর ফুটেজও আসে তার কাছে। এ সময় এএসপিকে থানায় রেখে ওসিসহ পুরো টিমকে আসামিদের আটকের নির্দেশনা দেন তিনি।
এদিকে, বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। গ্রামের বাড়ি নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমেরচর ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নূর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জামালপুর প্রেস ক্লাব, অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, জামালপুর টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন গোলাম রব্বানী নাদিমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শত শত জনসাধারণসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিক এবং পার্শ্ববর্তী জেলা-উপজেলার সাংবাদিকরা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৪ জুন) রাতে অফিসের কাজ শেষে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম ও তার সহকর্মী আল মুজাহিদ বাবু। পথে বকশীগঞ্জ পাটহাটি পৌঁছালে সামনে থেকে অতর্কিত আঘাত করে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর দেশীয় অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত তাকে সড়ক থেকে মারধর করতে করতে টেনেহিঁচড়ে অন্ধকার গলিতে নিয়ে যায় এবং তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় নাদিমকে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাদিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।