চরম আর্থিক সংকটের জেরে জরুরি অর্থের যোগান দিতে করাচি সমুদ্রবন্দরের টার্মিনালগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হস্তান্তরের চিন্তা করছে পাকিস্তান। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টোকিওভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জরুরি তহবিল গঠনের জন্য গত বছর পার্লামেন্টে আইন প্রণয়ন করে পাকিস্তান সরকার। সম্প্রতি করাচি বন্দর হস্তান্তরের জন্য জরুরি কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে দেশটির অর্থমন্ত্রী। এর আগে পাকিস্তান ও আমিরাতের মধ্যে হওয়া আন্তঃসরকার চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ বেশ কয়েকটি বৈঠকও হয়েছে।
তবে এসব বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। এমনকি পাকিস্তান সরকার আমিরাতের কাছে করাচি বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দিতে চায় নাকি বন্দরটি বিক্রি করতে চায় তাও জানা যায়নি।
করাচি বন্দর আরব সাগরের উত্তরে এবং ওমান উপসাগরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। এটি পাকিস্তানের প্রধান সমুদ্র বন্দর। এর মাধ্যমে দেশটির ৬০ শতাংশ পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়।
আমিরাতের বন্দর থেকে ওমান উপসাগর দিয়ে করাচিতে পণ্য পরিবহন সহজ হবে। এ ছাড়া এ পথে হরমুজ প্রণালির চেয়ে পণ্য আরও দক্ষতার সঙ্গে পরিবহন করা যাবে।
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও ভয়াবহ বন্যার সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পাকিস্তানের অর্থনীতি পতনের দ্বারপ্রান্তে। সম্প্রতি চীন থেকে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে দেশটি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলনা করা যায় বলে মন্তব্য করেছে নিক্কেই এশিয়া।