কম্বোডিয়ায় নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই আন্তর্জাতিক সংবাদ দেখে অনেকে আনন্দিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ দেখে অনেকে আনন্দিত, কম্বোডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কম্বোডিয়ায় বিরোধী দল অংশ নেয়নি, সে জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এখানে বিরোধী দল অংশ না নিলে কার অপরাধ? এতদিন যার মুখ-চোখ শুকিয়ে গিয়েছিল, এখন আবার গলায় পানি এসেছে। ফখরুলের গলায় এখন অনেক পানি। দেখতে মনে হয় অনেক ভালো মানুষ, অথচ মুখে এত বিষ!
এ সময় সেতুমন্ত্রী বলেন, খবর পাচ্ছি, সীমান্ত থেকে অস্ত্র কিনছে তারা (বিএনপি)। চাঁপাইনবাবগঞ্জ তাদের অস্ত্র সরবরাহের একটি ঘাঁটি। আগ্নেয়াস্ত্র এনে তারা মজুত করছে। তারা জানে, গণশক্তি জনশক্তি নয়। তারা মনে করে, অস্ত্রশক্তি হলো আসল শক্তি। যারা অস্ত্র দিয়ে ক্ষমতায় আসে, তাদের প্রতি জনগণের আস্থা থাকার কথা নয় বলেও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান বলেন আর এরশাদ বলেন, খালেদা জিয়া তাদেরই উত্তরাধিকার। তাদেরই লিগ্যাসি। তাদের জনগণের ওপর আস্থা নেই। তারা জানে, নির্বাচনের রেজাল্ট কী হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, সংঘাতমুক্ত, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু একটা নির্বাচন। জাতির কাছে এটা আমাদের প্রতিশ্রুতি। সেই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন তো স্বাধীন করেছি। শেখ হাসিনার কারণে নির্বাচনব্যবস্থা আজকে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অধীনে সাব-অফিস নয়, নির্বাচন অফিস এখন একটা স্বাধীন অফিস। স্বাধীন নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়েছে। এই একটি বিষয়ে ২০০৯-পূর্ববর্তী এবং ২০০৯-পরবর্তী অবস্থাকে মিলিয়ে দেখতে হবে। নির্বাচনব্যবস্থায় কারচুপি, জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।