গণঅধিকার পরিষদকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না দেওয়ার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করতে আসে নুরের দল। এ সময় কর্মসূচিতে বাধা দিলে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে দলটির একাংশের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেছেন, কয়টা গুলি আছে আপনাদের বন্দুকে? তার থেকেও বেশি মানুষ আছে আমাদের সমর্থনে রাজপথে। এইটা তো ট্রেলার, আসল সিনেমা তো ২৭ তারিখের পরে হবে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১২টার পর রাজধানীর জামান টাওয়ারে নিজেদের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে পল্টন, সচিবালয়, শাহবাগ হয়ে বাংলা মোটর মোড়ে আসলে মিছিল আটকিয়ে দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা। সেখানে দলটির সভাপতি নুরুল হক নূর সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ সংগঠনটির উচ্চ পরিষদের একাধিক সদস্য বক্তব্য রাখেন।
সমাপনী বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি নূরুল হক নূর বলেন, আমাদের কর্মী-সমর্থকদের ভয় পেয়ে মিছিল আটকে দিয়েছে। সরকার পুলিশ দিয়ে আমাদের দমাতে চাইছে কিন্তু পারবে না। আমাদের সাথে তাদের থেকেও বেশি সংখ্যার জনগণের সম্পৃক্ততা রয়েছে। আর সেটা দেখেই তারা ভয় পাচ্ছে।
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে নুর বলেন, কয়টা গুলি আছে আপনাদের বন্দুকে? তার থেকেও বেশি মানুষ আছে আমাদের সমর্থনে রাজপথে। এইটা তো ট্রেলার, আসল সিনেমা তো ২৭ তারিখের পরে হবে।
পুলিশের পক্ষ থেকে মিছিল শেষ করে বাংলা মোটর মোড় থেকে সরে যেতে বললে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষ করে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি জমা দেয়।
স্মারকলিপি জমা দেওয়া শেষে গণঅধিকার পরিষদকে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সাত দিনের আলটিমেটাম দেয় দলটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের নিবন্ধনের বিষয়টি যদি পুনর্বিবেচনা না করা হয়, প্রয়োজনে আবারও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করব। এবার হয়তো আমাদের কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল করেছি বলে আমাদের পথে আটকে দিয়েছে। এরপর প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের সামনেই ঘেরাও কর্মসূচি দেব। আমরা পুনর্বিবেচনার জন্য ইসিকে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছি। যাতে করে আমাদেরসহ যৌক্তিকভাবে অন্যদের নিবন্ধন দেয়।