রংপুরে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় মহাসমাবেশ। ঐতিহাসিক রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। এরইমধ্যে সমাবেশ স্থল ও আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য।
কয়েক ঘণ্টা বাদেই জনতার মঞ্চে বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বক্তব্য শুনতে ও দলীয় নির্দেশনা জানতে রংপুর ও বিভাগীয় বিভিন্ন থেকে দলে দলে ছুটে আসছেন নেতাকর্মীরা।
এতে স্লোগানমুখর হয়ে উঠেছে পুরো নগরী।বুধবার (২ আগস্ট) রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই জনসভায় বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তবে সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে সমবেত হতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। অনেকে পৌঁছেছেন রাতেই। থেকেছেন ফুটপাতেই।
জিলা স্কুল মাঠ ও আশপাশের এলাকায় দেখা যায়, জনসভার মাঠে প্রবেশে তিনটি গেট করা হয়েছে। গেটগুলোতে দেওয়া হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড। একটি গেট দিয়ে লাল, হলুদ ও সবুজ কার্ডধারী নেতারা প্রবেশ করতে পারবেন।
এ ছাড়া মঞ্চের সঙ্গেই অপর আরেকটি ভিআইপি গেট প্রস্তুত করা হয়েছে। যে গেট দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কেন্দ্রীয় এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রবেশ করবেন।
দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর প্রধানমন্ত্রীর রংপুরের জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি চলছে।
রংপুর পুলিশ কমিশনার ডিসি (ক্রাইম) আবু মারুফ হোসেন জানান, জনসভার নিরাপত্তায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে সশস্ত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। জনসভাস্থল ছাড়াও পথে পথে রুট ডিউটি, চেকপোস্ট, পুরো নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ ও মোড়ে মোড়ে দায়িত্বরত আছেন। একইসঙ্গে জনসভাস্থল, পুরো শহর ও সার্কিট হাউসের পুরোটাই সিসিটিভির কাভারেজে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।