একাধিক সূত্র জানায়, এ ঘটনায় বেশ কিছু বিষয় নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। ওরশ উপলক্ষে মাজারের আশপাশের নির্ধারিত এলাকায় ট্রেনের গতি ১০ কিলোমিটার নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি মানা হয়েছে কিনা কিংবা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল কিনা সেটির খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
একাধিক সূত্র জানায়, এ ঘটনায় বেশ কিছু বিষয় নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। ওরশ উপলক্ষে মাজারের আশপাশের নির্ধারিত এলাকায় ট্রেনের গতি ১০ কিলোমিটার নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি মানা হয়েছে কিনা কিংবা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল কিনা সেটির খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান তারেক শনিবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ওরশ চলাকালীন উল্লেখিত জায়গায় ৯ আগস্ট থেকে ট্রেনের গতি ১০ কিলোমিটারে নামিয়ে আনা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে আখাউড়ার খড়মপুর এলাকায় অবস্থিত শাহ সৈয়দ আহম্মদ গেছুদারাজ (রহ.)-এর মাজারের পশ্চিম পাশে রেললাইন ধরে চলার সময় দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হন। এর মধ্যে ট্রেন আসতে দেখে লাফিয়ে পড়ে তিনজন ও ট্রেনে কাটা পড়ে একজন মারা যান। এ ঘটনায় রেলওয়ের পক্ষ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
এদিকে, রেললাইন দিয়ে লোকজন চলাচল ছাড়াও সরেজমিনে গিয়ে নানা অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাজার উপলক্ষে বসা মেলার দোকানগুলোর কারণে হাঁটাচলাও দায়। মাজারে প্রবেশের মূল সড়কটি তেমন চওড়া না হওয়া ভোগান্তিতে পড়তে হয়। মাজারের ঠিক দক্ষিণ দিকে ঘাটলা থাকলেও সেখানে নৌকার সংকুলান হয় না। যে কারণে আখাউড়া থেকে বাইপাস হয়ে সিলেটে যে রেলপথ গেছে সেটির পাশে তিতাস নদীতে নৌকা রাখতে হয়। সেখান থেকে রেললাইন ধরে লোকজনকে মাজারে আসতে দেখা যায়। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক সমাগম হলেও পানীয় জল ও টয়লেটের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বেশ কিছু দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার বিক্রি করতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকে আখাউড়া খড়মপুর মাজার শরীফে বার্ষিক ওরশ শুরু হয়েছে। ১৪ আগস্ট আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ওরশ শেষ হবে। ওরশে লাখো লোকের সমাগম হয়। ওরশ উপলক্ষে মাজার ও এর আশপাশে মেলা বসে।