পূর্ব টাট্টিউলি বাজারের চায়ের দোকানদার শফিক মিয়া জানান, ওই বাড়ির বাসিন্দারা প্রায় দুই মাস আগে এখানে এসে নতুন বাড়ি করেছে। তাঁর দোকানে এসে অল্প বয়সের দুজন পুরুষ মানুষ নিয়মিত চা খেত। তারা বলেছিল তাদের বাড়ি বগুড়ায়, নদীভাঙনে তাদের বাড়ি চলে গেছে, তাই এখানে এসে বসতি করেছে। আরো পরিবার আসবে।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে আমাদের প্রতিনিধি জানতে পারেন, প্রায় দেড় মাস আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা ও কাতারপ্রবাসী রাশিদ আলীর মালিকানাধীন ৫০ শতকের টিলা ভূমি কেনে এই সংগঠনের সদস্যরা। তিনটি টিনের ঘর তৈরি করে তারা বসবাস শুরু করে। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে নদীগর্ভে নিজেদের বাড়ি বিলীন হয়ে যাওয়ায় এখানে এসে ভূমি ক্রয় করেছে বলে জানাত। তারা সেখানে সবজি চাষ, সামাজিক বনায়ন করার কথা বলত।
ওই টিলায় গিয়ে দেখা যায়, টিনের তিনটি ঘরে বিপুল পরিমাণ চাল, সয়াবিন তেলসহ খাদ্যদ্রব্য, চিকিৎসাসামগ্রী ও জ্বালানি কাঠ মজুদ করে রাখা। পুলিশ সদস্যরা জব্দকৃত মালপত্র গাড়িতে তুলছেন। এ সময় স্থানীয় একাধিক লোক জানান, মাসখানেক ধরে এখানে অপরিচিত লোকের আনাগোনা বেড়ে যায় এবং তারা দেশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে জানায়। এ ছাড়া এই বাইশালী টিলায় ৪০টি পরিবার আসার কথা ছিল।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা]