সরকার নির্ধারিত ১২ টাকা দরে প্রতি পিস ডিম বিক্রি নিশ্চিত করতে এবার ট্রাকে করে খোলা বাজারে ডিম বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন (বিপিএ)। আগামী সপ্তাহ থেকে রাজধানীর ২০টি স্থানে এ কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে সংগঠটি আশা করছে।
এ বিষয়ে প্রথমিক ভাবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে কালবেলাকে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি সুমন হাওলাদার। বিষয়টি ভোক্তা দপ্তর থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি দেশি পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেন। এখন পর্যন্ত সেই দামে পাওয়া যাচ্ছে এসব পণ্য। বিকল্প হিসেবে সরকার ইতোমধ্যে কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ডিম আমদানি হয়নি।
দেশের পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানির মাধ্যমে ডিম-মুরগির বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এ খাতের প্রধান কাঁচামাল মুরগির বাচ্চা, খাদ্য এবং ওষধের দাম কমানো গেলে বাজার দর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।
প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, ডিম আমদানির পরিবর্তে পোল্ট্রি মুরগির বাচ্চা ও খাদ্য আমদানি করলে দাম নিয়ন্ত্রণে সুফল পাওয়া যাবে। তাদের দাবি খামার ও পাইকারি পর্যায়ে ডিমের মূল্য সহনিয় থাকলেও খুচরা পর্যায়ে দাম বেশি রাখা হচ্ছে। যেজন্য তারা খোলা বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার কালবেলাকে বলেন, প্রান্তিক খামারিরা সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছে। সেজন্য খোলা বাজারে ডিম বিক্রির বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আমাদের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিতে বলেছেন। এ লক্ষ্যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকা ও পাশ্ববর্তী জেলার খামারিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিদপ্তরে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া হবে। আশা করছি ভোক্তার কল্যাণে আমরা সরকার নির্ধারিত দামে পর্যাপ্ত ডিম সরবরাহ করতে পারবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে খোলা বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রির বিষয়ে মৌখিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের পরিকল্পনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়নি।
এর আগে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা খোলা বাজারে চিনি বিক্রির অনুমতি দিয়েছি। এখন খামারিরা আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিলে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।