দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কে চোখ রাঙালো কে চোখ বাঁকালো তাতে যায় আসে না। নির্বাচন হবেই। নির্বাচনকালীন কোনো সরকার গঠিত হচ্ছে না। বরং তপশিল ঘোষণার পর এ সরকারই নিয়মমাফিক তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগদান উপলক্ষে সম্প্রতি বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে তিনদিনের সরকারি সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, নির্বাচন হবেই। কোনো সহিংসতা করে লাভ হবে না। ২০১৩ সালে পারে নাই, ২০১৮ সালে পারেনি।
তিনি বলেন, ‘মাঝখানে তারা (বিএনপি) কিছুটা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করছিল। আমাদের সরকার তাদের কোনো বাধাও দেয়নি। তাদের ওপর একটি শর্ত ছিল তারা যেন অগ্নিসন্ত্রাস-ভাঙচুর, এগুলো না করে। তারা যখন সুস্থ রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল, মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসও ধীরে ধীরে অর্জন করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৮ তারিখে তাদের যেই ঘটনা, বিএনপির যেসব ঘটনা ঘটাল, বিশেষ করে মাটিতে ফেলে পুলিশকে যেভাবে কোপাল, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, এই ঘটনার পরে জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির আর কিছু জুটবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে, সেখানেও পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। আজকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনির ওপর যেভাবে হামলা করছে, এখানে হাসপাতালে বোমা হামলা করল, নারী-শিশুদের অত্যাচার করেছে, তাদের সবকিছু বন্ধ করে রেখে দিয়েছে, আমি তফাত কিছু দেখতে পারছি না। আমরা এর নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে নিজেরাই পালাল, পালিয়ে গিয়ে এখন আবার অবরোধের ডাক। কীসের অবরোধ? কার জন্য অবরোধ? যখন সারা বিশ্ব বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে প্রশংসা করছে তখন তাদের কাজ হলো বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। বাংলাদেশের এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, দেখাবে বাংলাদেশে কিছু হয়নি। তাদের হামলার শিকার একদিকে পুলিশ, আর হচ্ছে সাংবাদিক। এদের ওপর তারা হামলা চালিয়েছে। সেগুলো কারা করেছে, তাদের নাম ডাক….। তারা তো প্রকাশ্যে করেছে। শুধু তাই নয়, গতকালকে তারা লালমনিরহাটে আমাদের যুবলীগের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এভাবে হত্যা করা আর মানুষের সম্পদ নষ্ট করা, আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করাই তাদের চরিত্র। হঠাৎ কেন সাংবাদিকদের ওপর তারা চড়াও হলো? সাংবাদিকরা তাদের পক্ষে ভালো ভালো নিউজ দিচ্ছিল। টকশোতে ভালো ভালো কথা। বরং সরকারের দোষটাই সাংবাদিকরা বেশি দেখে। তাহলে তাদের রাগটা কেন সাংবাদিকদের ওপর হলো? সেটাই বুঝতে পারলাম না।