ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবস্থা শোচনীয় বললেও কম বলা হয়। সেমিফাইনালে খেলার আশা নিয়ে ভারত গেলেও এখন টানা পাঁচ হারে সেই স্বপ্ন আগেই শেষ। তবে এখনও রয়েছে ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার আশা। সেই স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে কলকাতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমেছে সাকিব বাহিনী। বাবরদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ অবশ্য শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয় মাহমুদউল্লাহ-লিটনের ব্যাটে কাটালেও তাদেরকে হারিয়ে আবার চাপে পড়েছে।
এই বিশ্বকাপে ব্যাটিং ব্যর্থতা যেন বাংলাদেশ দলের পিছুই ছাড়ছে না। কলকাতায় আগের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও একই দশা হয়েছে টাইগারদের। ৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারায় ২৩ রানে। সেখান থেকে লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহর জুটিতে একশ’ ছাড়ায় বাংলাদেশ। এরপর ফিফটির আগে লিটন ও ফিফটির পরে ফিরেছেন রিয়াদ। রিয়াদের ফেরার পর তিন বল খেলে হৃদয় ফিরলে আবারও বেশ চাপে পড়েছে বাংলাদেশ।
২৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চাপ সামলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা চালান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাস। ৭৯ রানের জুটিতে ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখতে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য ধাক্কা হয়ে আসে লিটনের নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসা।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে দলের শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলেন। নিজেও ফিফটি থেকে আর মাত্র ৫ রান দূরত্বে ছিলেন। এমন সময় অবিশ্বাস্য একটা ভুলে ইফতিখারের বলে চিপ করতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ তুলে দিলেন লিটন। লুফে নিতে ভুল করলেন না আগা সালমান।
লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে আটকে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। খোলস ছেড়ে বেরোতে প্রাণপণ লড়াই সাকিবেরও। এমন সময় উইকেটের খোঁজে শাহিন আফ্রিদিকে আক্রমণে আনলেন বাবর। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে সময় নিলেন না। শাহিনের বলে স্টাম্প ভাঙল মাহমুদউল্লাহর। ৭০ বলে ৫৬ রান করেছেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা এই ব্যাটার। তার বিদায়ে আবারও চাপে বাংলাদেশ। এরপর দুই ম্যাচ পরে দলে ফিরে হৃদয় টিকলেন মোটে ৩ বল। রান করলেন ৭।
এখন সাকিব ও মিরাজের ব্যাটে চড়ে ভালো কিছুর আশা বাংলাদেশের।