বাংলাদেশের নির্বাচিত ইস্যুতে পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে নিয়মিত আলোচনা হয়। সোমবার (২০ নভেম্বর, স্থানীয় সময়) ব্রিফিংয়েও উঠে আসে চলমান রাজনৈতিক ইস্যু ও আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গ।
সেখানে অবস্থানরত সাংবাদিক বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার অবস্থান জানতে চেয়ে বলেন, সংলাপে বসতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের আটক করছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে এক দলের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে কী উদ্যোগ নিচ্ছে?
জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ দলকে সমর্থন করে না। শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন- বাংলাদেশের জনগণ যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে ওই লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজসহ সব অংশীদারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে।
ওই ব্রিফিংয়ে মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের বড় তিন দলকে নিঃশর্ত সংলাপে বসার চিঠি দিয়েছেন। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ৩০টিরও বেশি দল নির্বাচনে যাওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছে। কেবল বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির বর্জন কি নির্বাচনের অংশগ্রহণমূলক ও বৈধতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে?
জবাবে মিলার বলেন, আমেরিকার লক্ষ্য, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
নির্বচান ছাড়াও ব্রিফিংয়ে উঠে আসে দেশের পোশাক শ্রমিক আন্দোলনের ইস্যুও। বাংলাদেশে শ্রমিকদের বিক্ষোভে প্রাণহানি এবং সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে মিলার বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে সহিসংতা, শ্রমিক এবং ট্রেড ইউনিয়নের বৈধ কার্যক্রমকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার মতো বিষয়গুলোতে আমেরিকা নিন্দা জানাচ্ছে। শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর বিরুদ্ধে চলমান দমন-পীড়ন নিয়েও উদ্বেগ জানান তিনি।
এদিকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আবার আলোচনা হয়েছে জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে। যেখানে বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি।
সোমবার (২০ নভেম্বর, স্থানীয় সময়) জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- বিরোধী দলের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন এবং একটি রাজনৈতিক সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য মহাসচিব কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন সেটা নিয়ে ভাবছি। সরকার কি আন্তর্জাতিক আহ্বানকে উপেক্ষা করেছে?
জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব অংশীদার, সরকার, রাজনৈতিক দলগুলোকে যথাসম্ভব করার আহ্বান জানাই।