দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির চাহিদা অনুযায়ী দেশের ৩০০ নির্বাচনী আসনে দুই হাজার ৭০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের প্রয়োজন হবে। যা গত সংসদ নির্বাচনের চেয়ে ৫ গুণ বেশি।
আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩৭ দিনে এতো সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য ৯০ কোটির বেশি অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ইসি সংশ্লিষ্টরা।
এ সংখ্যা বাদে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা থাকে ২ হাজার ৬৩৫ জন। তাদের মধ্যে একটি অংশ সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।জনপ্রশাসন সূত্র জানায়, কেউ কেউ ছুটি দিয়ে বিদেশে কর্মরত এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে প্রেষণে নিযুক্ত আছেন। এসব বাদ দিয়ে দায়িত্ব পালনের মতো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২ হাজারের বেশি নয়। অবশ্য সরকার চাইলে উপসচিব বা তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদেরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত করতে পারে।
মন্ত্রণালয় সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে ১ হাজার ৬৫৮ জন উপসচিব, ৯৩৩ যুগ্মসচিব, ৩৭১ জন অতিরিক্ত সচিব এবং ২৭ জন গ্রেড-১ ও ৮২ জন সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তা আছেন।
সম্ভাব্য খরচ
এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পেছনে দৈনিক ভাতা, যানবাহনের জ্বালানিসহ প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ইসি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচনী এলাকায় ৩৭ দিন দায়িত্ব পালন করবেন। সে হিসাবে ২ হাজার ৭০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করলে নির্বাচন কমিশনের ৯০ কোটি টাকার বেশি খরচ করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শাহীন আরা বেগম গতকাল সোমবার বলেন, নির্বাচন কমিশনের চিঠি এখনো তিনি দেখেননি। চিঠি দেখে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মতো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার সক্ষমতা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আছে।