স্পোর্টস ডেস্ক : পুরুষ ফুটবলে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানির বর্তমান অবস্থাকে করুণ বললে খুব একটা বাড়িয়ে বলা হয় না। ২০১৪ সালের পর থেকে অবনতির দিকেই জার্মান মেশিন। টানা দুই বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়, এরপর টানা হারে কোঁচকে বরখাস্ত করা, নতুন কোচ নিয়েও পারফরম্যান্সের উন্নতি না হওয়া সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থা মুলার-সানেদের। তবে ধুঁকতে থাকা জার্মানদের আনন্দের উপলক্ষ এনে দিল জার্মান ফুটবলের উত্তরসূরিরা। ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে জার্মানি।
প্রতিযোগিতার মেগা ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে ড্র হলেও পেনাল্টি শুট আউটে ফরাসিদের হারিয়ে দেয় জার্মান কিশোররা।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার সুরাকার্তার স্তাদিয়ন মানাহানে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে ট্রাইবেকারে ৪-৩ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের উৎসব করেছে জার্মানি।
ফাইনালের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফুটবল খেলতে থাকে জার্মানি অনূধ্বং-১৭ দল। বারবার ফ্রান্সের ডিফেন্স লাইনে আক্রমণ শানায় জার্মান কিশোররা। সেই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ২৯ মিনিটে প্রথমবার এগিয়ে যায় জার্মানি। পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করেন স্ট্রাইকার ব্রুনার।
বিরতি থেকে ফিরে আরও একবার এগিয়ে যায় জার্মানি। ৫১ মিনিটের মাথায় ২-০ গোলে এগিয়ে যায় তারা। এবার স্কোরবোর্ডে নাম তোলেন দার্ভিচ। ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে দ্রুতই লড়াইয়ে ফেরে ফরাসি কিশোররা। ৫৩ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করেন বাওব্রি। জার্মান ডিফেন্সে আক্রমণের ঝড় তোলে ফ্রান্স। এরই মধ্যে ৬৯ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন উইনার্স ওসায়ি। ম্যাচের একেবারে শেষ সময়ে গিয়ে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান আমাগৌ।
সমতায় ফেরানোর পর টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী অতিরিক্ত সময় ছিল না ম্যাচে, সরাসরি ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে জার্মানির কাছে ৪-৩ গোলে হেরে হৃদয় ভেঙেছে ফ্রান্সের।
টাইব্রেকারে প্রথম ৫ শটে প্রতি দলই গোল পেয়েছে ৩টি করে। এরপর সাডেন ডেথে গড়ায় টাইব্রেকার। ষষ্ঠ শট থেকে গোল করতে পারেনি ফ্রান্স। ফরাসিদের মিসের পর গোল করে ছোটদের বিশ্বকাপে প্রথম শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতেছে জার্মানির খেলোয়াড়েরা।
টাইব্রেকারে প্রথম শট নেয় ফ্রান্স। প্রথম শট থেকেই গোল পায় তারা। কিন্তু জার্মানির নেওয়া প্রথম শটটি ফিরিয়ে দেন ফ্রান্সের গোলকিপার। দ্বিতীয় শটে গোল পেয়েছে দুই দলই। ফ্রান্স তিন ও চার নম্বর শটে গোল পায়নি। কিন্তু ওই দুই শটে গোল পেয়েছে জার্মানি। পাঁচ নম্বর শট থেকে গোল পায় ফ্রান্স। আর জার্মানির শট ঠেকিয়ে দেন ফ্রান্সের গোলকিপার।