ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কটের কারণ জানিয়েছে বিএনপি। শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দুই মাসের জন্য ঢাকায় আসা ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট টিমকে এ কারণ জানায় দলটি। বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ বিএনপির ৫ নেতা এতে অংশ নেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ ভার্চুয়াল বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ইইউ প্রতিনিধি দলের কাছে দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বয়কটের কারণ তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা। একইসঙ্গে দেশে যে এখন কোনো রকম নির্বাচনী পরিবেশ নেই, সে বিষয়টিও তুলে ধরেন তারা। এর স্বপক্ষে গায়েবি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় নেতারাসহ সারা দেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন, গভীর রাত পর্যন্ত আদালতের কাজ চালু রেখে বিরোধীদলের সম্ভাব্য প্রার্থীসহ শত শত নেতাকর্মীর ফরমায়েসি সাজা প্রদান, দমনপীড়নের বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপি। দলটির নেতারা বলেন, এমন পরিবেশে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। এ সময় সরকার ফের একতরফা নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে বলে দলের অভিমত তুলে ধরেন নেতারা।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় পৌঁছায় ইইউর চার সদস্যের নির্বাচনী এক্সপার্ট টিমটি। তারা হলেন- ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড (ইলেকশন এক্সপার্ট), আলেকজান্ডার ম্যাটাস (ইলেকটোরাল এনালিস্ট), সুইবেস শার্লট (ইলেকটোরাল এনালিস্ট) এবং রেবেকা কক্স (লিগ্যাল এক্সপার্ট)।
তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ কোনো পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না বলে গত ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানায় ইউরোপের ২৭ দেশের এই জোট। এই সফরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে গত ২৯ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে যৌথসভা করে ইইউ। বৈঠকে সংস্থাটির ১০ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ইসিকে তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ দেয়।