মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ৯টি যানবাহন নিয়ে ফেরিডুবির ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি ফেরির সহকারী মাস্টার হুমায়ুন কবীরের। ডুবে যাওয়ার সময় তিনি ফেরিতেই ছিলেন। এর আগে সবাইকে তিনি ডুবে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
গতকাল বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের অদূরে ফেরি রজনীগন্ধ্যা-৭ ডুবে যায়। এরপর ফেরির অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাড়ে ফিরলেও এখনো নিখোঁজ আছেন হুমায়ুন কবীর। তবে ফেরিতে থাকা ২০ জন ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই মালবাহী ট্রাকের শ্রমিক।
হুমায়ুন বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের আরিচা আঞ্চলিক কমিটির দক্ষিণ (পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া) শাখার সভাপতি ছিলেন। তার বাড়ি পিরোজপুরে। তার সংসারে স্ত্রী, এক ছেলে এবং দুই মেয়ে রয়েছেন। তিনি ২০১১ সালে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি শুরু করেন। সাত মাস আগে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি পথে যোগ দেন।
ফেরি সেক্টরের ম্যানেজার সালাউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ফেরিটি যখন ডুবতে থাকে তখন হুমায়ুন সবাইকে সতর্ক করে। এরপর শুনেছি সে ফেরির নিচতলায় গেছে। এর মধ্যে ফেরি ডুবে যায়। ফেরিটি যখন ডুবছিল হয়তো কোনো কিছুর চাপায় হুমায়ুন নিচে ফেরির মধ্যে আটকে আছেন।
এদিকে ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারের কাজ গতকাল রাত ১০টার দিকে স্থগিত করা হয়। এর আগে, বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার মাধ্যমে রাত ৮টা পর্যন্ত দুটি ট্রাক উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবার উদ্ধারকাজ শুরু হবে।
এ দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিসির পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।