পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে চরম উত্তেজনার মধ্যে বিশাল এক বিমান প্রতিরক্ষা মহড়া চালিয়েছে ইরান। ড্রোন ব্যবহার করে শত্রুর হামলা প্রতিহত করতেই এই মহড়া করেছে তেহরান। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ইরানি রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল প্রেস টিভি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ইরানি বাহিনী সফলভাবে একটি নতুন বিমান প্রতিরক্ষা পদ্ধতি চালু করেছে যা ড্রোন ব্যবহার করে শত্রুর হামলা প্রতিহত এবং স্থাপনায় আঘাত হানতে পারে।
দুই দিনের এ সামরিক মহড়া গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে আজ শুক্রবার সফলভাবে শেষ হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমের খুজেস্তান প্রদেশের আবদান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের চাহবাহার পর্যন্ত এলাকাজুড়ে এই মহড়া চালিয়েছে ইরান। বেলুচিস্তান প্রদেশের সঙ্গে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত রয়েছে।
প্রেস টিভি জানিয়েছে, ইরানের সেনাবাহিনীর বিমান ও নৌবাহিনী, মহাকাশ বাহিনী এবং ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) নৌবাহিনী এ মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছে।
গাজা যুদ্ধ ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে গত মঙ্গলবার ইরান পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলে দুই দেশের সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সবশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। এতে ইরানের অন্তত ৯ জন নিহত হন। এ ঘটনায় পাকিস্তানের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে ইরান হামলা করলে পাকিস্তানের দুই শিশু নিহত এবং তিনজন আহত হয়। ইরানের এই হামলার জবাবে বৃহস্পতিবার দেশটিতে পাল্টা হামলা চালায় ইসলামাবাদ। ইরানের সীমান্তবর্তী কয়েকটি স্থানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অবস্থান ও স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। পাকিস্তানে হামলার বিষয়েও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে হামলার দাবি করেছিল তেহরান।