মজুদদারি ও সিন্ডিকেট রোধে কঠোর নজরদারিতে সরকার : কৃষিমন্ত্রী
অনলাইন ডেক্স
আপডেট সময়
মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৪
৪৬
বার পড়া হয়েছে
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার আশ্বাস দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, ‘পণ্যের দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেটি আমরা দেখব। মজুদদারি ও সিন্ডিকেট যাতে না হয়, সেদিকে সরকারের কঠোর নজর রয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী নিজ কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।মন্ত্রী বলেন, ‘চালের দাম বাড়লে তাতে মানুষের ওপর চাপ পড়ে। এ বিষয়ে আমরা সজাগ আছি।
এ বিষয়ে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে যেখানে যতটুকু সহযোগিতা দরকার, সেটি করা হবে। আমরা চেষ্টা করব, যাতে দাম বেড়ে না যায় এবং কৃষকরাও যাতে দাম পায়, আবার মজুদদারিও যাতে না হয়।’সারের পর্যাপ্ত মজুদ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বোরো মৌসুমে সারের কোনো রকম সংকট হবে না। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ইউরিয়া সারের সম্ভাব্য চাহিদা হলো আট লাখ ৮৬ হাজার টন।
এর বিপরীতে বর্তমান মজুদ ও সম্ভাব্য পাইপলাইন মিলে মোট মজুদ হবে ১৩ লাখ ৫১ হাজার টন। একইভাবে টিএসপির দুই লাখ ৪১ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুদ হবে তিন লাখ ৮৮ হাজার টন। ডিএপির তিন লাখ ১৪ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুদ হবে চার লাখ ৭৬ হাজার টন এবং এমওপির দুই লাখ ২৩ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মজুদ হবে পাঁচ লাখ ২৭ হাজার টন।’বৈঠক প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের আম সুস্বাদু ও মানসম্পন্ন হওয়ায় এ বছর বেশি পরিমাণ আম নেবে রাশিয়া। ৫০ টন আম নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেশটির।
ফুলকপি ও পেঁপে নিতেও আগ্রহী দেশটি। কৃষিপণ্যের গুণগত মানে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, আমরা তা অবশ্যই পরীক্ষা করব, পরীক্ষা করে সেগুলো রপ্তানি করব। এ ছাড়া বাংলাদেশে সার রপ্তানিও তারা অব্যাহত রাখবে। রাশিয়া আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা আমাদের বন্ধু, আগামীতেও থাকবে।’