মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে সংসদে অভিশংসন প্রস্তাব আনছেন বিরোধীরা। মালদ্বীপের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল মালদ্বীভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এমডিপি) সংসদ সদস্যরা দেশটির প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব জমা দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) মালদ্বীপের ইংরেজি দৈনিক দ্য সানের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এমডিপির একজন আইনপ্রণেতা দ্য সানকে বলেছেন, ডেমোক্র্যাটদের সাথে সমন্বয় করে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য আইনপ্রণেতাদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে এমডিপি।
দেশটির আরেক সংবাদমাধ্যম আধাধুর তথ্য অনুযায়ী, এমডিপি এবং ডেমোক্র্যাটের প্রতিনিধিসহ মোট ৩৪ জন সংসদ সদস্য প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাবে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। রোববার দেশটির সংসদে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার কারণে এই প্রস্তাব উত্থাপনে ব্যাঘাত ঘটে।
দ্য সান বলেছে, সরকার দলীয় আইনপ্রণেতারা সংসদের কার্যক্রম ব্যাহত করলে নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইহুসান এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ ঘাসান মামুনের অনুমোদন এমডিপি আটকে দেবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়।
দেশটির সংসদে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার পর সোমবারের অধিবেশনের আগে সংসদে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অন্যান্য সদস্যদেরও সংসদের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে ভারতবিরোধী অবস্থান নিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করে মালদ্বীপের ক্ষমতায় আসেন মোহাম্মদ মুইজ্জু। মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি মুইজ্জুর অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে মালদ্বীপের তিন মন্ত্রীর বিতর্কিত পোস্ট ঘিরে দুই দেশের মাঝে কূটনৈতিক বিবাদ চরমে পৌঁছেছে।
দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপক টানাপোড়েনের মাঝে চীন সফর শেষে দেশে ফেরার পর গত ১৪ জানুয়ারি মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারে নয়াদিল্লিকে আল্টিমেটাম দেন মুইজ্জু। ওই দিন দ্বীপ দেশটি থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতে নয়াদিল্লিকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ভারতীয় সৈন্যদের মালদ্বীপ ছেড়ে চলে যেতে হবে।