ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে দূরে থাকতে বলেছে তেহরান। রোববার (১৪ এপ্রিল) জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি মিশন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে। খবর রয়টার্সের।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই পাল্টা হামলা করেছে তেহরান। ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি দুই চিরশত্রু দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ পর্যন্ত বেঁধে যেতে পারে বলে সতর্ক করছেন তারা। যদিও তেহরান বলছে, পাল্টাপাল্টিা হামলার বিষয়টি এখানেই শেষ বলে ধরা যেতে পারে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি মিশন বলেছে, সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কূটনৈতিক প্রাঙ্গণের ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় এই সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি এখানেই শেষ বলে ধরা যেতে পারে। তবে ইসরায়েলি শাসক গোষ্ঠী যদি আরেকটি ভুল করে তাহলে ইরানের জবাব আরও যথেষ্ট গুরুতর হবে। এটি ইরান ও দুর্বৃত্ত ইসরায়েলি সরকারের মধ্যে সংঘাত। এই সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে দূরে থাকতে হবে।
তবে ইরান দূরে থাকতে বললেও ইসরায়েলকে ইস্পাত-দৃঢ় সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের হামলার হালনাগাদ তথ্যের জন্য আমি আমার জাতীয় নিরাপত্তা দলের সাথে দেখা করেছি। ইরান ও এর প্রক্সিদের হুমকি মোকাবিলা ও ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি ইস্পাত-দৃঢ়।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান।
যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।