ঢাকাঃ চুরির উদ্দেশ্যে রাজধানীর গুলশানে ইলেকট্রনিকস পণ্যসামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলজির শোরুমে তিন যুবক প্রবেশ করেছিলেন বলে দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন (র্যাব-১)-এর উপ-অধিনায়ক মেজর আজম।
র্যাবেরএ কর্মকর্তা জানান, এলজির শোরুমের ভেতরে যে তিন যুবক প্রবেশ করেছিলেন, তাঁরা মূলত চুরি করতেই সেখানে যান। ভবনটির ভেতরে কালো রঙের যে দুটি ব্যাগ পাওয়া গেছে, তার ভেতর থেকে ১৭টি এলজির মুঠোফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি প্যাকেটসহ এবং একটি খোলা অবস্থায় ছিল। এ ছাড়া ব্যাগের ভেতর তিনটি স্ক্রু ডাইভারও পাওয়া গেছে। বিভিন্ন লকের তালা ভাঙা বা খোলার জন্যই এই স্ক্রু ডাইভারগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, এলজি শোরুম যে ভবনটিতে অবস্থিত, সেই ভবনের পঞ্চম তলায় এমডি রয়েল সিকিউরিটিজের একটি কার্যালয় রয়েছে। কার্যালয়টির তালা ভেঙে কাগজপত্র ছড়ানো ছিটানো এবং ক্যাশবাক্সের তালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পায় র্যাব।
সিকিউরিটিজ কর্তৃপক্ষ জানায়, তাঁদের কার্যালয় থেকে তিন থেকে চার লাখ টাকাসহ বিভিন্ন জরুরি কাগজপত্র খোয়া গেছে।
মেজর আজম আরো বলেন, চোররা এই ভবনের পেছনের দিকের জানালা দিয়ে প্রবেশ করে। তারা পেছনেরই একটি গ্রিল কেটে পালিয়ে যায়।
ভবনের ভেতরে কোনো ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর আজম জানান, তাঁরা ভেতরে কোনো ক্যামেরা দেখতে পাননি।
চুরির এই ঘটনায় ভবনের কোনো ব্যক্তি জড়িত রয়েছে কি না জানতে চাইলে মেজর আজম বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।
এর আগে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক ঢোকার খবর পেয়ে রাজধানীর গুলশানে এলজির শোরুমে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন মেজর আজম।
সোয়াট, র্যাব ও পুলিশের বিশেষ এই অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। শুধুমাত্র শোরুমটিতে দুটি কালো রঙের ব্যাগ দেখা যায়। ব্যাগ দুটিতে কী আছে, তা জানতে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং তা খুলে দে