জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কৃষকের নিকট দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পানিফল চাষ। খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় অন্যান্ন ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি পানিফল চাষে কৃষকের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। জলাবদ্ধ পতিত জমি, খালবিল ও ছোট আকারের পুকুরে সাধারনত খেতে সুস্বাদু এসব পানিফল চাষ হয়। উপজেলা কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা জানায়, আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে পানিফল চাষ করতে হয়। আশ্বিন মাস থেকে ফল দেওয়া শুরু হলেও মাঘ মাস পর্যন্ত উৎপাদন হয়। পানিফল দেখতে মানুষের হৃৎপিন্ড বা ত্রিভুজের মত। এর ভিতরের শাঁসগুলো সাদা নরম হয়। পানিফল কাঁচা অথবা সিদ্ধ খাওয়া যায়।
উপজেলার রতনপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে সুজন মন্ডল বলেন, আমার এই জমিটুকু নিচু হওয়ায় অন্য ফসল পানিতে ডুবে যায় তেমন ফসল পাই না। একারনে কয়েক বছর যাবৎ ৩০ কাটা জমিতে পানিফল চাষ করি এবছরও করেছি। সুজন আরো বলেন, ৩০’কাটা জমির পানিফল এবছর প্রায় ৪০’হাজার টাকার অধিক বিক্রয় করেছি। বিঘা প্রতি ২০/২৫ মন ফলন হয় এবং ১৮ থেকে ২০ কেজিতে পাইকারি বিক্রয় করি। একই এলাকার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে হাবিকুল ইসলাম বলেন, ১৫’হাজার টাকায় ৩’বিঘা জমি লিজ নিয়ে পানিফল চাষ করেছি। এখন পানিফল চাষের পাশাপাশি মাছও চাষ করায় লাভ হচ্ছি এতে সংসার ভালো চলছে। প্রান্তিক কৃষক আমেদালি মন্ডল বলেন, ধান পাট গম ভুট্টা সহ বিভিন্ন সবজি চাষে যত খরচ হয় পানিফল চাষে তেমন খরচ হয়না। খরচ কম লাভ বেশী হওয়ায় এলাকার অনেক কৃষক নিচু জমিতে পানিফল চাষ করছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, উপজেলায় এবছর ০৩ হেক্টর জমিতে পানিফল চাষ হয়েছে। অন্যান্ন ফসল চাষাবাদের তুলনায় পানিফল চাষে কীটনাশক সার ও শ্রমিক খরচ কম বলেও, জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।