ঝিনাইদহের তানজিলা খাতুনের
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের সেবিকা তানজিলা খাতুন। স্বপ্ন ছিল কোন সরকারী
হাসপাতালের সেবিকার চাকুরী করবে। সরকারী ভাবে নিয়োগ
ঠিকই হলো তবে নিহত হওয়ার ১৩ দিন পর। ঘাতক স্বামী নাজমুল
হাসান জুয়েল এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল প্রেমের জের ধরে ঝিনাইদহ সদর
উপজেলার পাগলা কানাই ইউনিয়নের কোরাপাড়া গ্রামের সাবেক
মেম্বর আব্দুল গনির মেয়ে তানজিলার বিয়ে হয় শহরের বকুলতলা
এলাকার আব্দুল বাকী বিল্লাহ’র ছেলে নাজমুল হাসান জুয়েলের
সাথে। বিয়ের পর থেকেই তানজিলা খাতুন ঢাকা পপুলার
হাসপাতালে সেবিকার চাকুরি করে আসছিল।
স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে স্বামী জুয়েল হোসেন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে
বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। স্ত্রী তানজিলা খাতুন বাড়ীতে
এসে বিষয়টি জানতে পারলে স্বামীকে বিভিন্ন সময় নিষেধ
করতে থাকে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২২ আগস্ট সোমবার বিকেলে স্বামী জুয়েল ও তার
পরিবার তানজিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। স্বামী ও তার
পরিবারের লোকজন যৌতুকের দাবীতে বিভিন্ন সময় তাকে মারধর
করতো বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তানজিলা খাতুন সরকারী সেবিকা হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়েছিল।
সেই পরীক্ষায় পাশ করে নিয়োগ হয়েছে ৪ সেপ্টেম্বর। তানজিলা
খাতুনের শেষ স্বপ্ন ছিল সরকারী হাসপাতালে সেবিকার চাকুরী
করা। বাড়ীতে এসেছে নিয়োগপত্র কিন্তুু আজ বেঁচে নেয়
তানজিলা খাতুন।
তানজিলা খাতুনের নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে পরিবারের সকলের মাঝে
আবারো শুরু হয়েছে শোকের মাতম। শুধুই কাঁদছে তারা। মেয়ে নেয়
কিন্তু নিয়োগ পত্র হাতে পাওয়ার পর মনে করিয়ে দিচ্ছে তার স্বপ্ন।
অন্যদিকে তানজিলা হত্যার বিচার পাচ্ছে না তানজিলার পরিবার।
পিতা আব্দুল গনি অভিযোগ করেন, আমার মেয়ে তানজিলা হত্যার
বিচার পাচ্ছি না। বিচারের আশায় বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে
যাচ্ছি আমি। ঝিনাইদহের সদও থানায় মামলা না নেয়ার কারনে
আদালতে মামলা করেছি।
আর তানজিলার ঘাতক স্বামী জুয়েল টাকার জোরে বীরদর্পে ঘুরে
বেড়াচ্ছে। পুলিশও তাদের গ্রেফতার করছে না।
উল্টো আদালতের মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তাই
দ্রুত ঘাতক জুয়েল ও অন্যান্ন আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানান
তানজিলার পিতা আব্দুল গনি।