গাইবান্ধায় পশুর হাট জমে উঠতে
শুরু করেছে
গাইবান্ধা থেকে শেখ হুমায়ুন হক্কানী ঃ পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে
রেখে গাইবান্ধাসহ ৬ উপজেলায় কোরবানি পশুর হাটগুলো জমে উঠতে শুরু
করেছে। হাটগুলো ভারতীয় গরুসহ দেশীয় গরু আসছে। ক্রেতা-বিক্রেতার
সমাগম ঘটলেও গরু বেচা-কেনা তেমন হচ্ছেনা বলে অনেকের দাবী। এছাড়া
গরুর দাম নিয়েও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যেও বিশাল ফারাক।
ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে গরু কেনা শুরু করলেও তারা
তেমন দাম হাকছেন না বলে জানান, গরুর বিক্রেতারা। এদিকে স্থানীয়ভাবে পশু
কোরবানিকারীরা এখনও হাটে তেমন একটা না দেখা যাওয়ায় গরুর দাম তেমন
পাওয়া যাচ্ছেনা বলে মনে করেন স্থানীয় গরু খামার মালিকরা। তবে তারা মনে
করছেন ঈদুল আজহার আরও কয়েকদিন বাকী থাকায় ক্রেতারা এখনও হাটে
আসতে শুরু করেননি। ফলে গরুর বাজার জমে ওঠেনি। গরু বিক্রেতারা মনে
করছেন ঈদের ৩ থেকে ৪ দিন আগে কোরবানি পশুর দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে।
অপরদিকে ক্রেতাদের ধারণা চোরাই পথে ভারতীয় গরু আসতে শুরু করায় দাম আরও
কমবে। এজন্য ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই অপেক্ষা করছেন।
এদিকে গরুর হাটগুলোতে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে হাট ইজারাদার হাটে
অতিরিক্ত টোল আদায় শুরু করে দিয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় তিনগুণ টোল
আদায় করা হচ্ছে। একাধিক হাট ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ হাটেই
সরকার নির্ধারিত টোল চার্ট লাগানো হয়নি। ফলে ইচ্ছে মত ইজারাদাররা
সরকারি নির্ধারিত রেটের চেয়ে অতিরিক্ত টোল আদায় করছে। এতে করে
টোল আদায়কারী ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে প্রতিনিয়ত বাকবিতন্ডা
লেগেই থাকছে।
একাধিক ইজারাদারের সাথে কথাবলে জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত
রেটেই হাটে টোল আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত টোল আদায়ের কোন প্রশ্নই
উঠেনা। তার পরও কেউ বেশি টোল আদায় করে থাকে আমরা তার বিরুদ্ধে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।