জাহিদ হাসান জামালপুর প্রতিনিধি।।। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সরিষাবাড়ীতে ভাইয়ের হাতে বিধবা বোন খুন হওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হওয়ায় অবশেষে ৭ লক্ষ টাকায় নিস্পত্তি করেছে এলাকার প্রভাবশালী মহল।
সরেজমিনে প্রাপ্ত তর্থের ভিত্তিত্বে জানাগেছে, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের রায়দেরপাড়া গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের বিধবা কন্যা ও একই ইউনিয়নের হরখালী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী মালেকা বেওয়া(৬০) ভাইদের হাতে পরিকল্পিত খুনের ঘটনা ফাস হওয়ার এলাকার প্রভাবশালী নেতা মুকুলের নেতৃত্বে হাইদর আলী ও নওগার গংরা মাত্র ৭ লক্ষ টাকায় নিস্পত্তি করেছে। খুন ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তী মাত্র ৭ লক্ষ টাকার অংশিদারীত্ব হিসাবে নিহতের মেয়ে জহুরা বেগম ৩ লক্ষ টাকা, স্থানীয় প্রভাবশালী ২ লক্ষ টাকা, পুলিশ প্রসাশন এক লক্ষ টাকা ও সাংবাদিকদের এক লক্ষ টাকা দেয়া হবে বলে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে বৈঠকে উপস্থিত এক বিশ্বস্ত সূত্র জানায়।
ডোয়াইল ইউনিয়নের রায়দের পাড়া গ্রামে রেজাউল হক রেজু ও তার ভাই গিয়াস উদ্দিন গুঠু গত মঙ্গলবার রাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বিধবা বোন মালেকা বেওয়া (৬০)কে হত্যার পর ভিতর বাড়ীর পিয়ারা গাছের সাথে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে। পরদিন সকালে বাড়ীর আশে পাশের লোকজন সংবাদপেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মালেকার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হলে এক স্থানীয় বৈঠকে খুনের আসল রহস্য ফাঁস হয়ে যায়।
বুধবার রাত সাড়ে এগার টার দিকে রায়দের পাড়া খালেকের মোড়ের পার্শ্বে প্রভাবশালী জনৈক হাইদর আলীর সভাপতিত্বে ও মুকুল নেতার সহায়তায় খুন ঘটনার ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টায় একটি শালিস বৈঠক বসে। ওই শালিস বৈঠকে রেজাউল হক ও গুঠু হাত জোর করে খুন ঘটনা স্বীকার করে এবং যে কোন মুল্যে বিষয়টি নিস্পত্তি করার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে শালিস বৈঠকে রেজাউল হক ও গুঠু খুনের বিষয়টি স্বীকার করলে বৈঠকে গুঞ্জন শুরু হয়। অবশেষে বৈঠকটি নিস্পত্তি ছাড়াই ভেঙ্গে যায়। অবশেষে শনিবার দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে মাত্র ৭ লক্ষ টাকায় নিস্পত্তি হয়। নিহত মালেকার মেয়ে জহুরা জানায়, রেজাউল হক ও গুঠু আমার মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পিয়ারা গাছে ঝুলিয়ে রাখে। ।আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে ওইদিন রেজাউলের ঘরের মধ্যে কাপড় দিয়ে মুখ বেধে ঘর তালা বদ্ধ করে রাখে। জহুরা তার মায়ের হত্যার বিচার চেয়ে কেদে ফেলেন । জহুরা আরোও বলেন সে মামলা করলে তার মায়ের মত তাকেও খুন করবে বলে হুমকী দিয়েছে রেজাউল গংরা।
ডোয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন রতন জানান, কে বা কারা খুনের ঘটনা নিস্পত্তি করেছে আমি শুনেছি মাত্র এর বাইরে আমি কিছুই জানিনা