নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের
মাঠ সুপারভাইজার আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে ব ̈াপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া
গেছে। শতকরা ৪০ ভাগ লাভে নিজের পছন্দ মতো লোকজনকে ঋণ দিয়ে থাকেন। ̄’ানীয়
ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় আব্দুস সাত্তারের দাপটে কেউ প্রতিবাদ করার সাহসটুকুও
পায়না। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নিয়মানুযায়ী মৎস, পোল্টধী ফার্ম, গাভী পালন,
হাস মুরগী পালনসহ বিভিন্ন খামারীদের মাঝে ঋণ বিতরণ করার কথা থাকলেও ঘুষের
বিনিময়ে যাদের খামার নেই তাদের মাঝে ঋণ বিতরন করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার মর্তুজাবাদ এলাকায় বাড়ি আব্দুস সাত্তারের। গত ৫ বছর
আগে উর্ধ্বতন বিভিন্ন মহলের তদবিরে তিনি এ উপজেলার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের
মাঠ সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পান। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি
বেপরোয়া হয়ে উঠেন। এছাড়া ̄’ানীয় বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে অন ̈ত্র বদলি করার
সাহস করেননি কেউ। দিন দিন আব্দুস সাত্তার বেপরোয়া হয়ে উঠেন। যুব উন্নয়ন
অধিদপ্তরের নিয়মানুযায়ী মৎস, পোল্টধী ফার্ম, গাভী পালন, হাস মুরগী পালনসহ
বিভিন্ন খামারীরা আব্দুস সাত্তারের কাছে গিয়ে কোন পাত্তা পাননা। আগে ঘুষের
চু৩ি করে তার স১ে⁄২ কথা বলতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন।
মাছুমাবাদ এলাকার আসাদু৩⁄৪ামান সিকদার অভিযোগ করে বলেন, আমার নিজ ̄^
পুকুর রয়েছে। মাছের খামারের জন ̈ আব্দুস সাত্তারের কাছে ঋণ দাবি করি কিন্তু
অধিক পরিমানে ঘুষ দাবি করায় আর ঋণ গ্রহন করা হয়নি। এখন ধারদেনা করে মাছ
চাষ করেছি। মাছ চাষে আশা করছি অনেকটা লাভ হবে। একই অভিযোগ কাঞ্চন
এলাকার বাবু মিয়ার। তিনি বলেন, হাসমুরগির খামারের জন ̈ আমি একটি ক্ষুদধ ঋণ
চেয়েছিলাম। শতকরা প্রায় অর্ধেক ঘুষ দাবি করায় আর ঋণ গ্রহন করেনি। কালাদি
এলাকার রাসেল মিয়ারও একই অভিযোগ।
অভিযোগ রয়েছে, কোন প্রকার খামার না থাকা সত্তেও ঘুষের বিনিময়ে বাগবেড়
এলাকার লাভলি আ৩ারকে ৫০ হাজার টাকা, পিতলগঞ্জ এলাকার আমিনুল ইসলামকে ৫০
হাজার টাকা, পারভিন আ৩ারকে এক লাখ টাকাসহ বিভিন্ন লোকজনকে ঋণ প্রদান
করেছেন আব্দুস সাত্তার। ঘুষের বিনিময়ে ঋন প্রদানের কারনে প্রক…ত খামারীরা
ঋণ গ্রহন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আব্দুস সাত্তার মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতনভাতা
পান। তিনি সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী। সোনারগাঁয়ের বুরুমদীতে বহুতল ভবন
নির্মাণ করেছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়িতে মাসিক ২০ হাজার
টাকা ভাড়া দিয়ে ফ্ল ̈াটে বসবাস করছেন। ছেলে রায়হানকে আইডিয়াল ̄‹ুল অ ̈ান্ড
কলেজে ও মেয়ে রিমিকে ক ̈ান্টনমেন্ট ̄‹ুল অ ̈ান্ড কলেজের লেখা পড়া করাচ্ছেন। এ
বিষয়ে আব্দুস সাত্তার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ ̈া ও
বানোয়াট।