ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন (ওজোপাডিকো) অফিসের
মিটার রিডার মোকাররম হোসেন ঘুষের বিনিময়ে কাগজপত্র ছাড়াই
বিদ্যুত সংযোগ দিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন।
তবে এ ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন করা হলেও কোন অনুমোদন নেই। ঈদের
ছুটিতে এই অপকর্ম করে মিটার রিডার মোকাররম অসাধ্য সাধন করেছে।
বিষয়টি ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ও
লাইন ম্যান নজির জানেন না বলে জানিয়েছেন।
আর এই অনুমোদন ছাড়াই মিটার দিতে ঘুষ নেওয়া হয়েছে দশ হাজার
টাকা। অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদরের আরাপপুরের ক্যাডেট
কলেজের বিপরীতে “ঝিনুকমালা” আবাসনের বাসিন্দা ভ্যান চালক মোঃ
কাদের মোল্লা তার বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য দালাল সরোয়ারের মাধ্যমে
বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেন।
প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখাতে না পারায় নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল
ইসলাম উপযুক্ত কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেন। পরবর্তিতে ঈদের ছুটিতে
অফিস বন্ধ হওয়ার পর মিটার রিডার মোকাররম দশ হাজার টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ
সংযোগ দেয়।
জানা গেছে, কাদের মোল্লা ঝিনুক মালা আবাসনের স্থায়ী বাসিন্দা না
হওয়ায় তিনি কোন কোন কাগজ দেখাতে পারেন নি। ঘটনার স্যততা জানতে
ঝিনুক মালা আবাসনের অস্থায়ী বাসিন্দা কাদের মোল্লাকে জিজ্ঞাসা করলে
তিনি বলেন, আমি দশ হাজার টাকা দিয়ে সরো দালালের মাধ্যমে লাইন
পেয়েিেছ। অফিস কি ভাবে দিয়েছে, তা আমি জানি না।
তিনি আরো বলেন, মোকাররম এ ভাবে টাকা নিয়ে আমাদের ঝিনুক মালা
আবাসনে কাগজ পত্র ছাড়া টাকা নিয়ে অনেকের বাড়িতে মিটার দিয়েছে।
সেই সুত্রে আমিও ১০ হাজার টাকা দিয়ে মিটার ও লাইন নিয়েছি।
মোকাররমের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বিভিন্ন কাজের অজুহাতে
বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে এলাকার লাইন ম্যান নজির হোসেনের
সাথে কথা হলে, তিনি জানান এই বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
ঈদের ছুটিতে অফিস বন্ধ থাকার কারণে কাদের মোল্লার কোন ফাইল অফিসে
অনুমোদন হয় নি। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে মিটার রিডার
মোকাররম নিজেই গোপনে আবাসন এলঅকায় গিয়ে মিটার ও বিদ্যুৎ
সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন বলে জানান, কাদের মোল্লা।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম
জানান, আমার অফিসে কোন প্রকার ঘুষের লেনদেন হয় না। এছাড়া আমি
ইদের ছুটিতে ছিলাম। এ ব্যাপারে আমার জানা নাই।