ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের ইফাদ অটের রাইচ মিলের কোটি কোটি টাকা পকেটস্থ করে
লাপাত্তা হওয়া সেই ম্যানেজার অবশেষে ফিরেছেন। ফেসবুক ও পত্রপত্রিকায়
রিপোর্ট হওয়ার পর ম্যানেজার আশাদুল ইসলাম সোমবার ডাকবাংলায় ফিরে
আসেন। এসেই তিনি অসুস্থতার কথা বলে হাসপাতালে খর্তি হয়েছেন।
ম্যানেজার আশাদুল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাথকুন্ডু গ্রামের আজিম উদ্দীন
ফকিরের ছেলে। তিনি সদর উপজেলার ডাকবাংলা ত্রিমোহনী এলাকার ইফাদ
অটোর রাইচ মিলের ম্যানেজার ছিলেন।
মিলের মালিক ও সাগান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আল-মামুন
জানান, বিশ্বস্ততার সুযোগ নিয়ে তার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার কয়েক
কোটি টাকা হিোতয় নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, বরিশালের এক পার্টির কাছ থেকে তিন কোটিসহ ২০১১ সাল
থেকে এ পর্যন্ত কত কোটি টাকার ঘাপলা করেছে তার হিসাব করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, গত শনিবার বরিশালের ফড়িয়াপট্রি মোকামের
আড়ৎদার জাহাঙ্গীর, শহিদ ও দিপকসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে হিসাব করে
চালের টাকা আনতে যায়।
এ সময় ম্যানেজর আশাদুলের সাথে আলাউদ্দীন আল-মামুনের ট্রাকের ড্রাইভার
ও হেলপাররা ছিলেন। হিসাব নিকাশ করার এক পর্যায়ে প্রায় তিন কোটি
টাকার ঘোপলা ধরা পড়ে।
হিসাবে গরমিল দেখেই ম্যানেজার আশাদুল পালিয়ে যায়। ম্যানেজার আশাদুল
২০১১ সালের পর থেকে জাল জোচ্চুরি, চাল পালিস করাসহ বিভিন্ন খাতের
কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় ইফাদ অটোর রাইচ মিলের মালিক আলাউদ্দীন
আল-মামুন একটি জিডি করেছেন, যার নাম্বার ৭৫৪।