পীর শাহ্ধসঢ়;
ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ-ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দখিনের
জনপদের বিষখালী নদীর তেঁতুল বাড়ীয়া- চুল্লিশ কাহনিয়া
ফেরিঘাটের দুটি পন্টুন নদীর দু’সমীক্ষায় প্রায় একযুগ ধরে
অযন্ত অবহেলায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে। প্রায়
কোটি টাকার এ সম্পদ সু রক্ষায় কোন কার্যকর উদ্যোগ না
থাকায় পন্টুন দুটি চরে আটকে বালু ও জোয়ারের পানিতে ডুবে
নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। ১৯৯৮ সালে সাবেক (জাপা) সংসদ সদস্য মরহুম
আলহাজ্ব জুলফিকার আলী ভূট্রো দক্ষিনা অঞ্চলের অবহেলিত মানুষের
প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরে হদুয়া দরবার শরীফের পীর মরহুম শাহ
মোয়াজ্জেম হোসাইন (র) এর স্বরনে সড়ক ও জনপদের অর্থায়নে
সড়কটি নির্মান করেন। কালের পরিবর্তনে নলছিটি মোল্লারহাট
ভায়া খুলনা শহরের সাথে যাতায়াতের জন্য নলছিটির পশ্চিম শেষ
প্রান্তে চরকাঠি পাড়া ও রাজাপুরের চল্লিশ কাহনিয়া নামক স্থানে
দুটি পন্টুন স্থাপন করেন। সড়কটি রোডর্স এ্যান্ড হাইওয়ের
আওতায় অন্তভূক্ত করে সড়কের ব্যাপক উন্নয়ন হলেও ফেরি চলাচলের
উদ্যোগ নেয়নি কেউ। মরিচা ধরে পন্টুন দুটির তলদেশ ছিদ্র হয়ে
গেছে। দীর্য একযুগ অতিবাহিত হলেও পরিত্যাক্ত পন্টুন দুটির
দিকে কোন খেয়াল রাখছে না কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা
গেছে, ওই এলাকার মানুষ রাজাপুর ঝালকাঠি ও খুলনা শহরের সাথে
যাতায়াতের জন্য এ সড়ক হতে প্রতিদিন হাজার, হাজার পথচারী
নদীতে খেয়া পার হয়ে চলাচল করছে। ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথের ফেরি
বিভাগ এসব ফেরিঘাট ব্যাবস্থাপনার দায়িত্বে থাকলেও পরিত্যাক্ত এ
ফেরি রক্ষনা বেক্ষনের কোন নজরদারী কিংবা কোন উন্নয়নের উদ্যোগ
নেয়নি। ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ বিষখালী
নদীচরে বিলিন হতে চলছে। চরকাঠিপাড়া ফেরিঘাটের ব্যাবসায়ী ও
সাবেক মহিলা ইউপি সদস্যা মোসা: আলমতাজ বেগম বলেন,
দীর্য এক যুগ ধরে ফেরি ঘাটের পন্টুন দুটি অবহেলায় পড়ে
আছে। মুল্যবান এ সম্পদের কতৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই।
রানাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সালাম বলেন, আমার
ছাএ জীবন থেকেই এ ফেরিঘাটের পন্টুন দুটিই দেখছি, ঘাটের
কোন উন্নয়ন হয়নী। ফেরিটি চালু হলে এ অঞ্চলের মানুষের
জনদুর্ভোগ পোহাতে হত না। এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সড়ক ও
জনপথের ফেরি বিভাগের কর্মকর্তা প্রকৌশলী আ: হামিদ এ
প্রতিবেদককে জানান, চরে আটকা থাকা ফেরি পন্টুন দুটি
এরশাদ সরকারের আমলে বরাদ্ধ করা হয়েছিল, ফেরী বরাদ্ধের আগেই
জাতীয় পার্টি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ওই ফেরি ঘাটের পন্টুন এ
ভাবেই পড়ে থাকে। বর্তমানে এ অকেজো ফেরি চালু হওয়ার
সম্ভাবনা নেই। নিলামে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মোঃ আমিনুল ইসলাম
ঝালকাঠি সংবাদদাতা