রামগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ টেন্ডারে বিলম্ব হওয়ায় রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর
ইউনিয়নে ৪ কিলোমিটার নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ কাজের শুরুর অপেক্ষার পালা
দীর্ঘতর হচ্ছে। এতে করে নতুন সংযোগের আওতাধীন গ্রাহকের মাঝে
উৎসবের পরিবর্তে দেখা দিয়েছে হতাশা। প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে স্থানীয়
এমপির পক্ষ থেকে আপ্রাণ চেষ্টা চালালেও প্রভাবশালী একটি কুচক্রী মহল ওই
টেন্ডার না হওয়ার জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে স্থানীয় সচেতন মহল
কর্তৃক অভিযোগ করা হচ্ছে।
বিভিন্ন মাধ্যম সূত্র জানান, রামগঞ্জ আসনের এমপি লায়ন এম এ আউয়াল
নিজ প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে উপজেলার ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের ৪
কিলোমিটার বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের ঘোষণা দেন। সে মোতাবেক ২০১৫
সালে পুরে ২ কিলোমিটার, নয়নপুরে ১ কিলোমিটার, উত্তর শ্রীরামপুরে
আধা কিলোমিটার, দক্ষিণ শ্রীরামপুরে আধা কিলোমিটার নির্ধারণ করা
হয়। যার আলোকে এমপির তাগিদে আর.এ.বি কুমিল্লা অফিসের উদ্যোগে
গ্রাহক তালিকার উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১৫ সালে শামদামপুরে সবুজ
মেম্বার, নয়নপুরে মো. লোকমান, উত্তর শ্রীরামপুরে মো. মিলন ও দক্ষিণ
শ্রীরামপুরে সিরাজ মেম্বার এবং ২০১৬ চলতি সালে নতুন করে ইউনিয়ন
চেয়ারম্যান সহিদ উল্যা, এস.আই ফারুক, লিটন মেম্বার ও কার্তিক নন্দী
গ্রহক তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেন। এরপর টেন্ডার না হওয়ায় বিদ্যুৎ
সংযোগের কাজ শুরু হচ্ছে না।
এলাকাবাসী জানান, একটি কুচক্রী মহলের কারনে বিদ্যুৎ সংযোগ কাজের
টেন্ডার হচ্ছে না। কেউ কেউ ইউনিয়ন সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের দায়ী করে
তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো: সহিদ উল্যাহ ও আ’লীগের সভাপতি নূর
মোহাম্মদ খাঁন জানান, যতই কুৎসা রটানো হোক, এমপিকে যতই
দোষারোপ করা হোক কাজ কাজের গতিতেই চলছে।
উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম জানান, বর্তমানে এস.এ
অফিসের কনসালটেন্টগণ প্যাকেজ তৈরি করছেন। এরপর তারা ওই প্যাকেজ
কুমিল্লা আর.এ.বি অফিসে জমা দেওয়ার পর সেখান থেকেই টেন্ডার দেওয়া
হবে। ওই টেন্ডারের পরপরই ওয়ার্ক ওয়াডার হবে।
স্থানীয় এমপি লায়ন এম এ আউয়াল জানান, এ প্রক্রিয়া শেষ হতে ২/৩ মাস
সময় লেগে যেতে পারে। আমি দ্রুত করার চেষ্টা করছি।