শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

আলাদীনের চেরাগ থাকলে সব সম্ভব

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৩ জুন, ২০১৬
  • ৩৩০ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম: জলাবদ্ধতাকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সমস্যা দাবি করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছি। এটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আমার হাতে আলাদীনের চেরাগ নেই। চাইলেই রাতারাতি এ সংকট থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে পারি না।

সোমবার (১৩ জুন) বিকেলে ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পর এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র এসব কথা বলেন। লঘুচাপের কারণে কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা না মিললেও সোমবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। দুর্ভোগে পড়ে লাখো মানুষ। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয় নগরবাসীর মধ্যে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ডিউটি অফিসার সৈয়দ আরিফুর রহমান বিকেল পাঁচটায় বাংলানিউজকে জানান, ২৪ ঘণ্টায় ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

নগর ভবনে নিজ দপ্তরে এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়েছি ১১ মাস হলো। জলাবদ্ধতা হচ্ছে এ নগরীর পুরোনো সমস্যা। উত্তরাধিকার সূত্রে এটি আমি পেয়েছি। আশার কথা হচ্ছে, অন্যান্যবারের মতো এবার জলাবদ্ধতা হচ্ছে না। কারণ আমরা প্রতিদিনই খাল ও নালা খনন করছি।

তিনি বলেন, একাধিক কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। আমাদের নালা-নর্দমাগুলো পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়নি। ড্রেনেজ সিস্টেম নেই বললেই চলে। আমরা নিয়মিত নালা পরিষ্কার করছি। কঠোরভাবে মনিটরিং করছি। ফলে আগে পানি নিষ্কাশনে যেভাবে বাধা পেত এখন তা নেই। কিছু কিছু এলাকায় সারা রাত আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কাজ করছে। কিন্তু পরদিন সকালে দেখা যায় আবার বর্জ্য ফেলে নালা ভরাট করে ফেলা হয়েছে। তাই নগরবাসীর সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করেছি আমরা।

চট্টগ্রামকে ব্যতিক্রম শহর উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এ নগরী হচ্ছে সারা দেশে ব্যতিক্রম। পাহাড়-নদী-সাগর-অরণ্যে সমৃদ্ধ এমন নগরী দ্বিতীয়টি নেই। এখানে নির্বিচারে বৈধ-অবৈধভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে। অপরিকল্পিত পাহাড় কাটার ফলে এখন সব পাহাড় ন্যাড়া। বাতাসের সাথে ধূলিবালি উড়ছে। বড় একটি অংশ সিলট্রেশন হচ্ছে। আপনারা দেখবেন বৃষ্টিপাত বন্ধ হলে সড়কের ওপর বালির আস্তরণ পড়ে যাচ্ছে। এটি চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার জন্যে বড় সমস্যা। জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণ দিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।

এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে অনুরোধ করেছি মদুনাঘাট থেকে পতেঙ্গা নেভাল একাডেমি পর্যন্ত বেড়িবাঁধ ও ২৬টি খালের মুখে রেগুলেটরসহ স্লুইসগেট নির্মাণ করতে। মেগা প্রকল্প। সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুসহ আমরা তিনজন সরেজমিন এলাকাটি পরিদর্শন করেছি। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে ডিপিপির খসড়া করেছে। আমাকে প্রেজেন্টেশন দেখিয়েছে। এক্ষেত্রে নদীপাড়ের বড় একটি অংশ বন্দর ও নৌবাহিনীর সংরক্ষিত এলাকা। এ দুই কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, নগরীর কিছু এলাকা আছে অমাবস্যা-পূর্ণিমার ভরা জোয়ারের সময় প্লাবিত হয়। কয়েকদিন আগে বলীরহাটে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি অবস্থা। জোয়ারেই প্লাবিত হচ্ছে বড় একটি এলাকা। দীর্ঘস্থায়ী সমাধান ছাড়া এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সিটি করপোরেশনের আর্থিক অবস্থা যা তাতে এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাহায্য চেয়েছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। আশাকরি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় হয়ে একনেকে এ বছর মেগা প্রকল্পটি পাস হবে।

তিনি বলেন, আমি আশাবাদী। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি শুধু নয়, চট্টগ্রামকে বিশ্বমানের নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো। সবুজ ও পরিচ্ছন্ন নগরী হবে চট্টগ্রাম।

বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ওয়াসা একটি স্যুয়ারেজ মাস্টারপ্ল্যান করছে। আমরা সিটি করপোরেশন থেকেও ২৬টি খালের একটি ডিপিপি তৈরি করছি। একই সঙ্গে সিলট্রেশন থেকে খাল-নালা রক্ষার জন্যে পাহাড়ের ক্ষয়রোধ করতে হবে। প্রতি বর্ষায় পাহাড় ধসে অনেক সম্পদ ও প্রাণহানি ঘটে। পাহাড়ের পাদদেশে গাইডওয়াল নির্মাণ করতে হবে। গ্রাফটিং করতে হবে যাতে পাহাড়ের ক্ষয় রোধ করা যায়। নিয়মিত খাল খনন করা অনেক ব্যয় সাপেক্ষ। তাই জাইকাকে গাইডওয়াল নির্মাণে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছি।

বিভিন্ন পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভবন বা স্থাপনা নির্মাণের অনুমোদন, নকশা ইত্যাদি দেখভাল করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। যদি অননুমোদিত কোনো স্থাপনা গড়ে ওঠে তাহলে আমি দাবি জানাবো জরুরি ভিত্তিতে যেন ভেঙে ফেলা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451