সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পতিতালয়ে নিয়ে কিশোরী শালীকে ধর্ষণ
করেছে তারই লম্পট ভগ্নিপতি। এঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ গতকাল
শনিবার দুপুরে লম্পট ভগ্নিপতি আলমাছ উদ্দিন (৩৫) কে
গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। সেই সাথে ধর্ষিতাকে
উদ্ধার করে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ পাঠানো হয়েছে। লম্পট
আলমাছ মিয়া উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কোনাট ছড়া
গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে। এঘটনার প্রেক্ষিতে ধর্ষিতা
কিশোরীর মামা হাসেন আলী বাদী হয়ে লম্পট ভগ্নিপতি আলমাছ
মিয়া,পতিতালয়ের সর্দার জসিম উদ্দিন ও মক্কীরানী বিলকিস বেগম
কে আসামী করে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় থানায় মামলা দায়ের
করেছেন। মামলা নং-১,তারিখ- ০১.১০.১৬ইং। ধর্ষিতা কিশোরীর নাম
জরিনা বেগম (১৩)। সে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নর মানিগাঁও
গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর মেয়ে। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে
উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কোনাটছড়া গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,গত সোমবার বিকেলে লম্পট আলমাছ
মিয়া তার চাচাতো শালী কিশোরী কে বেড়ানো
কথা বলে মানিগাঁও গ্রাম থেকে প্রথমে তার নিজবাড়ি
কোনাটছড়া গ্রামে নিয়ে যায়। পরে এদিন রাতে বাড়ির
পার্শ্ববর্তী সর্দার জসিম উদ্দিন ও মক্কীরানী বিলকিছ বেগমের
পতিতালয়ে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে আটক করে রাখে।
এঘটনার প্রেক্ষিতে লম্পট ভগ্নিপতি আলমাছ মিয়া কে পুলিশ
গ্রেফতারের পর পতিতালয়ের সর্দার জসিম উদ্দিন ও মক্কীরানী
বিলকিস বেগম এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন,লম্পট
ভগ্নিপতি কে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে আর পতিতালয়ের
সর্দার ও মক্কীরানীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।