ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া ও জাতির জনকের অবমাননার অভিযোগে খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও ইরাদ আহাম্মদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে।
সোমবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে এ অভিযোগ করেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন।
বাদীর আইনজীবী আবুল হাশেম বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের (সংশোধিত ২০১৩) ৫৭ ধারায় এ অভিযোগটি করা হয়।
“আদালত বাদির বক্তব্য শুনেছেন। মামলার বিষয়ে এখনো কোনো আদেশ দেননি। আশা করি, বিকালের মধ্যে আদেশ দেবেন।”
মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ছেলে ও দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য ইরাদ আহাম্মদ সিদ্দিকীকে আসামি করা হয়েছে।
ফেইসবুকের ওই স্ট্যাটাসে যারা লাইক দিয়েছেন ও মন্তব্য করেছেন তাদেরও আসামি করা হয়েছে। তবে তাদের সংখ্যা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়নি।
মামলার বাদী আবদুল কাদের সুজন বলেন, “ফেইসবুকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ইরাদ আহাম্মদ সিদ্দিকী জাতির জনকের অবমাননা করেছেন। পরবর্তীতে ২৫ সেপ্টেম্বর আরেক স্ট্যাটাসে বলেছেন- শেখ হাসিনাকে হত্যা ছাড়া বাংলাদেশে ক্ষমতার ভারসাম্য ও গণতন্ত্র ফেরানো সম্ভব নয়।”
সুজন বলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে ইরাদ আহাম্মদ একা এই বক্তব্য দিতে পারেন না। নিশ্চয় সাংগঠনিক সিদ্ধান্তেই তিনি এ বক্তব্য ফেসবুকে দিয়েছেন। দলের দুই শীর্ষ নেতৃত্ব এ বিষয়ে অবশ্যই জানে।
“আমার ধারণা তাদের অনুমতি নিয়েই ফেইসবুকে হত্যার এই ষড়যন্ত্র প্রচার করা হয়েছে।”
এর আগে বুধবার রাতে ইরাদ আহাম্মদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালী থানায় আরেকটি মামলা করেছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।