ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের পল্লীতে একের পর এক ডাকাতি চুরির ঘটনা কেন্দ্র করে গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন মালিথা ও বেতাই পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ তরিকুল ইসলামের প্রচেষ্টায় গান্না ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে সেচ্ছাসেবক লাঠিয়াল বাহিনী।
গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন মালিথা সাংবাদিককে জানান, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে ইউনিয়নের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছে যে আমাকে ৬ মাস ও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে দেবে না।
যার কারনে সেই সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ইউনিয়নে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন গ্রামে চুরি ডাকাতি সংগঠিত করে যাচ্ছে। যাতে তারা প্রশাসনের নিকট প্রমান করতে পারে যে, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর ইউনিয়নে চুরি ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইতিমধ্যে মহারাজ পুর ইউনিয়ন থেকে একজন ও গান্না ইউনিয়ন থাকে একজন সহ মোট দুইজন সন্ত্রাসী র্যাবের হাতে অস্ত্র সহ গ্রেফতার হয়। কিন্ত এই দুই জন গ্রেফতার হওয়ার পরও তাদের সাথের প্রায় ৩০/৩৫ জন আছে যারা এখন ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
এদের মধ্যে আশরাফুল নামের একজন আমাকে মোবাইলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়াছে। আমি তার ব্যাপারের প্রশাসনের বিভিন্ন জাইগায় ঘুওে ঘুওে অভিযোগ দায়ের করেছি।
হুমকি দাতা কারা প্রশাসন তা জানে। যে দুই জন এর আগে গ্রেফতার হয়েছে তাদের যদি পুনরায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায় তাহলে এই ঘটনা গুলি কারা ঘটিয়েছে তাহা বেরিয়ে আসবে।
আমার শক্তি সাধারন জনগণ, তাই আমি এই সন্ত্রাসী বাহিনী মোকাবেলার জন্য গ্রামের প্রতিটি পরিবার থেকে ১ জন করে লোক নিয়ে গ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করেছি। এখন কোন গ্রামে ডাকাত দল প্রবেশ করতে হলে তাদের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী কে মোকাবেলা করতে হবে।
বেতাই ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই তরিকুল ইসলাম তারিক বলেন, পুলিশ সর্বদা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পাহারা আরও জোরদার করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক গন ঠিক মত পাহারা দিচ্ছে কিনা তাহা আমরা মনিটরিং করছি।
বিগত দুই মাসে আমার এলাকা থেকে বিভিন্ন মামলার ৮ জন আসামি ধরে থানা হাজতে প্রেরন করেছি। ছোট্ট ঝিনাইদহ গ্রামে ডাকাতির খবর পাওয়ার সাথে সাথে ১০ মিনিটের মধ্যে ডাকাতির জাইগায় পৌঁছেছি। যারা ডাকাতি করেছে তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যহত আছে। আসা করি খুব তাড়া তাড়ী ডাকাত দলকে গ্রেফতার করতে পারব।