মো. আখলাকুজ্জামান, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা নদীরক্ষা কমিটির আয়োজনে রাজশাহীর পদ্মানদীর চারঘাট পয়েন্টে নন্দকুঁজা-বড়াল নদীর উৎসমুখে নির্মিত স্ল্যুইচগেট অপসারণের মাধ্যমে নন্দকুজা, বড়াল, আত্রাই ও গুমানী নদীসহ বৃহত্তর চলনবিলে স্বাভাবিক পানি প্রবাহের দাবীতে নৌ-লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৫ অক্টোবর বুধবার সকাল ১০টায় চাঁচকৈড় শিল্পনগরীর নন্দকুজা নদী থেকে ওই নৌ-লংমার্চটি চারঘাট স্ল্যুইচগেট অভিমুখে প্রায় দেড়শত কিলোমিটার নৌপথে যাত্রা শুরু করে। নৌ-লংমার্চের উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী।
এসময় উপজেলা নদীরক্ষা কমিটি ও উপজেলা মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি অধ্যাপক আত্হার হোসেন, প্রধান উদ্যোক্তা মো. এমদাদুল হক, নদীরক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মজনু, নাগরিক অধিকার কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. সামছুল হক শেখ, উপাধ্যক্ষ আব্দুস সালাম, সাংবাদিক এমএম আলী আক্কাছসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করেন। পরে চার দফা দাবী সংবলিত একটি স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রী ও চেয়ারম্যান জাতীয় নদী কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠান তাঁরা।
আয়োজক কমিটির দাবী, চারঘাটের স্লুইচগেটসহ নন্দকুঁজা, আত্রাই, গুমানী ও বড়াল নদীতে নির্মিত সকল ক্রসবাঁধ ও রেগুলেটর অপসারণ, সকল অবৈধ দখলদার ও স্থাপনা উচ্ছেদ, ভরাট হয়ে যাওয়া এসব নদীগুলো সিএস রেকর্ডের ভিত্তিতে জরীপের মাধ্যমে অবৈধ দখল উচ্ছেদসহ পুনঃখনন করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে পারস্পারিক সম্পর্কযুক্ত পদ্মা-যমুনা ও নন্দকুঁজা-বড়াল নদীর সংরক্ষন এবং উন্নয়নে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহন করার আহ্বান জানান তাঁরা। অন্যথায় পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেওয়া হয়।
ওই নৌ-লংমার্চটি বেলা ২টার দিকে বড়াইগ্রামের রামাগাড়ি নামক স্থানে নির্মিত একটি স্ল্যুইচগেটে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে সেখানেও তারা সমাবেশ করেন। বড়াইগ্রামের জোয়াড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চাঁদমোহাম্মদ এতে সভাপতিত্ব করেন। সেখানকার স্থানীয় লোকজন এ কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।