রুবেল মাদবর,
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ।।
জেলার শ্রীনগরে এসিড নিক্ষেপ মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করার পর থানা হাজত থেকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
শ্রীনগর থানার ওসির বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলার প্রধান আসামি দিদার মুন্সীকে থানা হাজত থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ০২ অক্টোবর দুপুরের দিকে শ্রীনগর উপজেলার বালাসুর এলাকা থেকে এসআই মো. রহমতের নেতৃত্বে এসিড নিক্ষেপ মামলার প্রধান আসামি দিদার মুন্সীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিন বিকেলে শ্রীনগর থানা হাজত থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদী মালেক ফকির।
বাদী জানান, তারই দেওয়া খবরের ভিত্তিতে আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে শ্রীনগর থানার এসআই মো. রহমত বলেন, গ্রেফতার করার পর আসামি দদার মুন্সীকে থানা হাজতে নেন তিনি। এরপর সে কিভাবে ছাড়া পেয়েছে তা আমার জানা নেই।
তবে শ্রীনগর থানার ওসি সাহিদুর রহমান বলছেন উল্টো কথা। তিনি বলছেন, আসামি দিদার মুন্সীকে গ্রেফতার করে পুলিশ তা সত্য। তবে থানায় নিয়ে আসার পথিমধ্যে কিভাবে পালিয়ে গেছে তা আমার বোধগম্য নয়। এদিকে, ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়।
জেলা পুলিশ সুপার জায়েদ আলম জানান, থানা হাজত থেকে আসামি ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় এসিড নিক্ষেপের শিকার নুর জাহান নামে নারীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রীনগর থানার ওসির বিরুদ্ধে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
তদন্ত কমিটি ঘটনা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সে যে-ই হোক।
উল্লেখ্য, গত ৮ ই সেপ্টেম্বর রাতে শ্রীনগর উপজেলার বালাসুর এলাকার মালেক ফকিরের মেয়ে শিরিন আক্তারকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জোরপূর্বক তুলে নেয়ার চেষ্টা করে দিদার মুন্সীর নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত। এসময় মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে মা নুর জাহানের ওপর এসিড নিক্ষেপ করে দৌড়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এসিড নিক্ষেপে গুরুতর আহত অবস্থায় নুর জাহানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে নুর জাহানের স্বামী মালেক ফকির বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় দিদার মুন্সীগে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।